পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি অঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষা এবং উলামায়ে কেরামের শান ও মান বজায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নানামুখী দ্বীনী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা প্রচলিত সর্বপ্রকার রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবে মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে একমাত্র আল-হাইআতুল উলয়া।
আজ রোববার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান। সভায় কওমি মাদরাসা বোর্ডসমূহের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। সভায় আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি ওয়াক্কাসের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীসহ বিশ্বমানবতার জন্য দোয়া করা হয়। সভায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সাব-কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সিদ্ধান্তসমূহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় বলা হয়, পবিত্র রমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বালা-মুসিবত ও মহামারি দূর হয়। তাই রমজানের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেয়ার জন্য এবং রমজানের পর কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।