পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান লকডাউন শেষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিগত দুই দফা লকডাউনের পর গণপরিবহন চালু করা হলেও সিংহভাগ গণপরিবহন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেনি। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করেও অধিকাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী বহন করা হয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া আদায় করলেও সরকার কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে এই বর্ধিত গণপরিবহন ভাড়া করোনা সংকটে কর্মহীন, আয়-রোজগারহীন দিশেহারা সাধারণ মানুষের মরার ওপর খাঁড়ার গায়ে পরিণত হয়েছিল।
এমন বাস্তবতা সামনে রেখে এবার গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও বেড়ে যাবে। কেননা বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সব শ্রেণীর গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও গণপরিবহনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালক-হেলপার দুজনে গণপরিবহন পরিচালনার কারণে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কেননা চালক গাড়ী চালানো ও হেলপার যাত্রী উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ যেমন: বাসে উঠতে যাত্রীর হাতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দেওয়া, মাস্কবিহীন যাত্রী উঠছে কি না পর্যবেক্ষণ করা, কিছুক্ষণ পর পর যাত্রী উঠা-নামার হ্যান্ডেল বা হাতলে স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামার পর খালি সিট স্যানিটাইজ করা, প্রতিটি বাস ছাড়ার পূর্বে সবকটি আসন স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামানোর পর সবকটি আসন পুনরায় স্যানিটাইজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই করোনার ভয়াবহ এই সংকটকালে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।