Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

আজ ২৫ এপ্রিল রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। করোনার কারণে এবারও অনাড়ম্বরভাবে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বন্দর ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রফতানির ৯২ শতাংশেরও অধিক পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কন্টেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতিতেও বন্দর ২৮ লক্ষাধিক কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। ২০০৯ সালে প্রথম বারের মত চট্টগ্রাম বন্দর ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের তালিকায় ৯৮তম অবস্থান নিয়ে নিজের স্বীকৃতি অর্জন করে। মাত্র ১১ বছরে ৪০ ধাপ এগিয়ে ২০২০ সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম অবস্থানে উন্নীত হয়।
বন্দর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বন্দরের এই অর্জন বর্তমান সরকারের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবর্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন স্বল্প-মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। তাছাড়া একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং স¤প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ ও নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। ইতিমধ্যে পতেঙ্গায় লালদিয়াচর এলাকায় বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ একর ভ‚মি দখলমুক্ত করা হয়েছে। উক্ত এলাকায় বন্দর সুবিধাদি বৃদ্ধির বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৬৬টি। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং এক কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ মেট্রিক টন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে তা যথাক্রমে জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৭৬টি, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৬ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং এক কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার ৮১৮ মেট্রিক টন। কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডিলিংয়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৭ শতাংশ এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ২.৭ শতাংশ। কোভিড-১৯ এর কারণে উন্নত বিশ্বের অনেক বন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হলেও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪/৭ চালু ছিল। চট্টগ্রাম বন্দর কোভিডের ১ম ঢেউয়ের সময়কালে প্রায় ডেলিভারি শূন্য অবস্থা হতে অত্যন্ত অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা এবং বন্দরের অপারেশন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করছে। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দর ব্যবহারকারী সকল স্টেকহোল্ডারদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে এবং চবক কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে করোনার ২য় ঢেউ চলাকালীন বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরে কোন জাহাজ জট বা কন্টেইনার জট নেই। আমদানীকারকগণ দ্রুততম সময়ে তাদের আমদানীকৃত পণ্য খালাসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতেও বন্দরের কার্যক্রম আরো নির্বিঘ্ন রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন। তাতে বর্হিবিশ্বে দেশের ও চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমর্যাদা উজ্বল হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম বন্দর

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৪ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ