Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টির অভাবে ঝরে পড়ছে আম

কপালে চিন্তার ভাঁজ আমচাষিদের

এমদাদুল হক সুমন, নওগাঁ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশের অন্যতম আম উৎপাদনকারি জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমের প্রায় ৬ মাস ধরে অনাবৃষ্টির কারণে তীব্র খরায় গাছ থেকে অনবরত ঝড়ে পড়ছে গোপালভোগ, লেংড়া, আমরুপালী, আশ্বিনা বানানা মাংগো, ফজলীসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির আম। সেই সাথে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্মীতলায় আমে হপার, উঁকুনপোকাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণের পাশাপাশি মরিচা রোগ দেখা দেয়ায় আমের শরীরে মরিচাসহ আম ফেটে যাচ্ছে এবং এই রোগাক্রান্ত বেশির ভাগ আম ধারণ করছে কালো রং। এ সব আমে কীটনাশক, প্রতিষেধক ব্যবহার করেও কোন সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ আম চাষিদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলায় আমের উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি আমচাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। জেলায় চলতি মৌসুমে ২৫ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত আম বাগান থেকে জেলায় ৩ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিন হবে বলে আশা করছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর।
জেলার আমচাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনাবৃষ্টির কারনে তীব্র খরায় ও পানির সেচ সঙ্কটে গাছ থেকে প্রতিনিয়ত আম ঝড়ে পড়ছে। সেই সাথে আমে হপার, উঁকুনপোকাসহ বিভিন্ন পোকা মাকড়ের আক্রমণের পাশাপাশি মরিচা রোগ দেখা দেয়ায় আমের শরীরে মরিচাসহ আম ফেটে যাচ্ছে এবং এই রোগাক্রান্ত বেশির ভাগ আম ধারন করছে কালো রং। এ সব আমে কীটনাশক, প্রতিষেধক ব্যবহার করেও কোন সুফল মিলছেনা বলে অভিযোগ আম চাষিদের।

সাপাহার উপজেলার আমচাষি আজিজুল হক বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরার কারণে আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। ১৫ দিন পরপর ঔষুধ স্প্রে করছি কিন্তু এসব পোকা দমন হচ্ছে না। একমাত্র বৃষ্টি হলে পোকার হাত থেকে আম রক্ষা পাবে বলে জানান এই আম চাষি। মহাদেবপুর উপজেলার আম চাষি মাহফুজুর রহমান জানান, অনাবৃষ্টির কারনে এ বছর আমে হপার, পোকামাকড় ও এক জাতীয় মাছির আক্রমন হচ্ছে। এতে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। কোন ঔষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এ বছর বৃষ্টির পানি না থাকায় আমের ফলন ও কম হবে বলে মনে করছেন এই আম চাষি।

কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ- পরিচালক মো. সামশুল ওয়াদুদ জানান, জেলার সাপাহার উপজেলা সহ কিছু এলাকায় আম ধরা ও রোগ বালাইয়ের কারনে ঝড়ে পড়লেও এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভার পড়বে না।আর যে সকল আমে মরিচাসহ অন্যান্য রোগ বালাই পোকামাকড় আক্রমণ দেখা দিয়েছে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ওই সব আমে কীটনাশক ও প্রতিষেধক ব্যবহার করলে রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে আম রক্ষা করা সম্ভব। আর বৃষ্টি হলে আম ঝড়ে পড়ারোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা মো. সামশুল ওয়াদুদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ