মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে করোনা পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে। অক্সিজেন না পেয়ে ইতিমধ্যেই মারা গেছেন অনেকে। দেশটির বহু হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট শুরু হয়েছে। করোনার জল গড়িয়েছে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে হ্যাশট্যাগ IndiaNeedsOxygen। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চায় পাকিস্তানের জনগণ।
ভারতকে অক্সিজেনের জোগান দিতে ইচ্ছুক তারা। IndiaNeedsOxygen হ্যাশট্যাগ পাকিস্তানে রীতিমতো ট্রেন্ডিং। অনেকেই ভারতকে অক্সিজেন সাপ্লাই করার অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের সরকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধও করা হয়েছে। অনেকেই টুইটারে সরাসরি লিখেছেন, এই সময় রাজনৈতিক বিরোধ সরিয়ে রেখে ভারতকে সাহায্য করা উটিত পাকিস্তানের। অনেকে আবার লিখেছেন, “ভারত তুমি সেরে ওঠো। পাকিস্তান তোমার সঙ্গে আছে। একসঙ্গে আমরা করোনার মোকাবিলা করব।”
অক্সিডেনের সংকট এই মুহূর্তে ভারতে প্রথম এবং প্রধান সমস্যা। শনিবার সকালে খবর পাওয়া গিয়েছে, শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির একটি হাসপাতালে ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আরও অক্সিজেন মজুত করা না গেলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা। দিল্লিতে করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ। রাজধানীর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা তলানিতে। বহু হাসপাতালে বেড না পেয়ে নাজেহাল রোগী ও তাঁদের পরিবার। হাসপাতালের বাইরে শুয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বহু সংকটনজনক রোগী। পাঞ্জাবের একটি হাসপাতালেও ৬ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালগুলি তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেও অক্সিজেনের জোগান দিতে পারছে না। অক্সিজেনের জন্য সর্বত্র হাহাকার।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, ছত্তীসগড়, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়া। প্রতিটি রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত সরকার সূদুর জার্মানি থেকে ২৩টি মোবাইল অক্সিজেন প্ল্যান্ট কিনে এনেছে। ওই প্রতিটি প্লান্টে প্রতি মিনিটে ৪০ লিটার অক্সিজেন তৈরি হবে। প্রতি ঘণ্টায় প্রতি প্লান্টে ২ হাজার ৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।