বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ড. মোঃ মীর কাসেম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
প্রচারবিমুখ এই মানুষটি ১৯৩৮ সালে উখিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অ্যাপ্লাইড ফিজিকস এ কৃতিত্বের সাথে স্নাতক শেষ করেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি হতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
চাকরি জীবনের শুরুতে লাহোর আনবিক শক্তি কমিশন যোগদান করেন। এরপর জার্মানির ভিয়েনাতে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী মরহুম) ড. ওয়াজেদ মিয়া তার বন্ধু এবং সহকর্মী ছিলেন। তাদের প্রচেষ্টায় কক্সবাজার আণবিক শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে চৌধুরী সুলতান মাহমুদ সপরিবারে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।
আরেক ছেলে ইউসুফ কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নিবাসী। বড় মেয়ে কোহিনুর রহমান কানাডা প্রবাসী এবং বড় জামাতা মোহাম্মদ মামনুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মরত আছেন। তার ছোট মেয়ে ডা. আরিফা মেহের রুমি এমবিবিএস এবং বিসিএস পাস করে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ইনডোর মেডিকেল অফিসার হিসেবে এফসিপিএস ডিগ্রীর জন্য অধ্যায়নরত আছেন।
কক্সবাজারের কৃতি সন্তান পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মোঃ মীর কাসেম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং হাই প্রেসারে ভুগছেন। দেশের সম্পদ বয়োজ্যেষ্ঠ অভিভাবকসম মানুষটির রোগমুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন তার পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।