নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই হাত না থাকার পরও মুখে তুলি ধরে কাগজে ছবি আঁকার উদাহরণ মেলে। কিন্তু দুই হাত না থাকা সত্তে¡ও একজন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হয়ে ওঠার উদাহরণটা বোধ হয় তৈরি করেছেন একজনইÑমোহাম্মদ হামাদতু। মিসরের দুই হাতবিহীন এই মানুষটি প্যারালিম্পিকের টেবিল টেনিসে অংশ নিয়ে অবাক করে দিয়েছেন সবাইকে। তিনি সার্ভ করেন পা দিয়ে বল তুলে আর ভলি করেন মুখ দিয়ে। তবে এটি করতে তাঁকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। শুরুর দিকে বগলের নিচে টিটি ব্যাট রেখে খেলেছিলেন। পরে দাঁত দিয়ে কামড়ে ব্যাট ধরেই তিনি সফল। সার্ভ করার সুবিধার জন্য তিনি ডান পায়ে জুতো পরেন না। ডান পায়ের বুড়ো আঙুল আর তার পাশের আঙুলটির মাঝখানে বল ধরে তিনি সার্ভিস করেন।
হামাদতুর এই কাহিনি অধ্যবসায় আর চেষ্টার দুর্দান্ত এক উদাহরণ। মাত্র ১০ বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় দুই হাত হারান তিনি। জীবনের সলতেটাই নিবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তিনি তো সম্পূর্ণ অন্য ধাতুতে গড়া। তিনি এমন একটা কাজে নিজেকে পারদর্শী করে তুললেন যাতে হাতের ব্যবহারটাই আসল। খেলার মধ্য দিয়েই হামাদতুকে বাঁচার প্রেরণা জোগান তাঁর এক আত্মীয়। তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমার দুই হাত হয়তো নেই। কিন্তু দুটো পা তো আছে। তুমি ফুটবল খেল।’ যে খেলোয়াড় জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে জয়ী তাঁর ক্ষেত্রে প্যারালিম্পিক বা যেকোনো খেলায় জয়-পরাজয় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।