Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার মারাত্মক অবনতি হচ্ছে : মার্কিন কমিশনের রিপোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সির দ্য ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভারতকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের কালো তালিকায় রাখার প্রস্তাব করেছে কমিশন।

বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সহ্য করছে।’ সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সিএএ চালু করেছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।

এটি কয়েক লাখ মুসলিমের আটক হওয়ার শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ভারতে ক্রমাগত নিচের দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে হিন্দুত্ববাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’ গত বছর নয়াদিল্লিতে মারাত্মক দাঙ্গার সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও পুলিশের নির্যাতনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার হিন্দু জাতীয়তাবাদী নীতিগুলি প্রচার করেছে যার ফলে নিয়মতান্ত্রিক, চলমান এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন হয়েছে। এ ছাড়াও মোদি সরকারের পরিচালিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইনের ফলে ভারতের মুসলিমরা নাগরিকত্ব হারাতে পারেন। প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ভারতবর্ষের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশসহ বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আন্তঃধর্মীয় বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার ভিন্নমত দমনের চেষ্টা করছে।

তবে ভারতের বিষয়ে এই সুপারিশের বিরোধিতা করেছেন কমিশনের একজন সদস্য জনি মুর। তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে মুর বলেন, ভারতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের অধিকারক্ষুণ্ন হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে সাংবিধানিক গ্যারান্টি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সমস্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতের একটি বিশেষ উদ্বেগের দেশ হওয়া উচিত নয়। এটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ এবং এর ধর্মীয় অবস্থান ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত।’

ভারত ছাড়াও কমিশন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে রাশিয়া, সিরিয়া এবং ভিয়েতনামকে কালো তালিকায় যুক্ত করার আহবান জানিয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে ১৪টি দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণে ‘বিশেষ উদ্বেগের’ বলা হয়েছে। দেশগুলি হচ্ছে- মিয়ানমার, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সউদী আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ভারত, রাশিয়া, সিরিয়া এবং ভিয়েতনাম। ইতিমধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বø্যাক লিস্টে থাকা অন্যান্য দেশগুলি হচ্ছে- ইরিত্রিয়া, ইরান, মায়ানমার, নাইজেরিয়া, উত্তর কোরিয়া, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান। এই দেশগুলোতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের রক্ষায় দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অবরোধের মুখোমুখি হবে অথবা দেশটির সহযোগিতা হারাবে।

গত বছরও ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের কালো তালিকায় রাখার প্রস্তাব করেছিল ওই কমিশন। সে সময় ওই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবারও যে মার্কিন সরকার এই প্রতিবেদন আমলে নেবে এবং ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, সেই সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

 

 



 

Show all comments
  • M. H. Rahman ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৭ এএম says : 0
    Hahaha...They will only give lip service rather than action because the victims are Muslims.
    Total Reply(0) Reply
  • Shahed Parvez ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৭ এএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • Baadshah Humaun ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 0
    এই ভারত সরকার পৃথিবীর কোন দেশ শান্তিতে থাক সেটা তারা চায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Pasha Jafree ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 0
    আর বাংলাদেশে সংখ্যাগুরুদের নির্যাতন বেড়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Sharif ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 0
    তারা আবার অসাম্প্রদায়িকতার সবক শেখাতে আসে। যাকে বলে 'চোরের মায়ের বড় গলা'।
    Total Reply(0) Reply
  • Jamal Hossain Mizi ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 0
    ভারতের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে আর বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুদের উপর নির্যাতন করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Habib Reza ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৯ এএম says : 0
    আর বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের স্বাধীনতা তলানীতে ঠেকছে ---
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ৪:১১ এএম says : 0
    আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু,সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করুন রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করেন দেখবেন বাংলাদেশে কিছুই হবেনা,সংসদীয় পদ্ধতি এক দলীয় শাসন ,কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটা বুজে নাই,আওয়ামী লীগ,বিএন পি যখন 1991তে দেখলো ইসলামী দল গুলি সামনে অগ্রসর হইতেছে,তখন তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল,তখন তাহারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্র পতি এরশাদ কে চৌরাচার রাষ্ট্র পতি বলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সংগ্রাম গড়ে তোলেন,ওকে বুজলাম এরশাদ চৌরাচার সে জন্য তিনি সরে গেল,পরবতীর্তে কেন রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করা হলো কে করলেন,সেটা আসলে আমাদের দেশের জনগণের মাথায় আসে নাই,কিন্তু এখানে বিরাট একটি পলিসি ছিল আওয়ামী লীগ বিএন পির,তাহারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে হাসিনা খালেদা দুইজন গোপন বৈঠক করেন,তাদের মধ্যে একটাই কথা ছিল রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি থাকলে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না,আমরা যদি সংসদীয় পদ্ধতি করি ক্ষমতায় হয় তুমি থাকবে না হয় আমি আর কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না,এবং সব কিছু দলীয় হয়ে যাবে,বাংলাদেশে থাকবে মাত্র দুই দল আওয়ামী লীগ,বি এন পি,এই তুমি আর আমি এই ভাবে তাহারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল,কিন্তু এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সাংবাদিক মিডিয়া কাউকে যেতে দেওয়া হয় নাই,কিন্তু জনগণকে কিছু বুজতে দেয় নাই। এখন আপনারা হয়তে বলবেন এখন কেন ঐক্য নাই ,সেটা অবশ্যিই আপনারা বুঝবেন কেউ যদি চোয়ারে বসে উঠতে একটু কষ্ট হয় পয়োজনে বেইমানি করে,এটাও মনে করেন বেইমানি,আপনারা হয় তো বাঘ আর বক এর কবিতা পড়েছেন ,বাঘ বলিলেন ভাই বক আমার গলা থেকে হাড়টা বাহির করে দে আমি তোমাকে বকসিস দিবে ,বকটি বাঘটিকে বিশ্বাস করলে তখন বকটি বলিলেন ভাই আমার বকসিস তখন বাঘ বলিলেন বলিস কি তের এতে বড় সাহস আমার গলায় তের এতে বড় লম্বা ঠোঁট দিয়েসিস তেকে আমি চিপাইয়া খাই নাই এটাইতে তের ভাগগে ভালো,দেখেন কি বেইমানি ,হাসিনা খালেদার বেলায় এই কবিতা মতো,এখনও সময় আছে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার আমাদের জনপ্রতিনিধি একজনকে বসাই ,আমাদের দরকার নাই 500পরিবার কে দেশের সম্পদ সব দিয়ে দিবার,আসুন সবাইকে নিয়ে আগের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করি সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করি,জনগণকে দলীয় শাসন থেকে রক্ষা করার এটাই একমাত্র উপায়,এখানে একটি কথা আছে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীর আংশিক ক্ষমতা ছিলো রাষ্ট্র পতি উল্টা পাল্টা কিছু করলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারতে। কিন্তু সংসদীয় পদ্ধতিতে তাদের জন্য কিছু রাখে নাই।এখন জনগণের অধিকার পূরণ করতে হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা লাগবে,আমি মনে করি সেনাবাহিনী আমাদের পহরী আমাদের সম্পদ আমাদের দেশ রত্ন তারাই একমাত্র পারবে জনগণের অধিকার এনে দিতে। দেশের বর্তমানে যে অবস্থা সেনাবাহিনীর উচিত হবে জরুরি বিবেচনা করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rayhan Nahid ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশের আমার হিন্দু ভাইয়েরা ক্ষমতার সহিত থাকে।বিচ্ছিন্ন দুই একটা ঘটনা সেটা ভিন্ন বিষয় আমি তা অস্বীকার করছি না।সার্বিক দিক বিবেচনা করলে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ভাইয়েরা অনেক ভাল আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Sahadat Hossen Raju ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩৫ এএম says : 0
    তার পরেও এই জালিমদের সাথে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক
    Total Reply(0) Reply
  • Nazera Zahir Chowdhury ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম says : 0
    100 % right. Should go for condemnation.
    Total Reply(0) Reply
  • Mehebuba Hena ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    হিন্দুদের এমন মন-মানসিকতার কারনেই গোটা ভারত মহাদেশ বিভাগ হয়েছিল একদিন।তাই আমরা ও বেচে গেছি হিন্দুদের আগ্রাসন থেকে।রবী ঠাকুরের সেই সোনালি সুর্য মাখা ভারত এখনও তৈরি হয়নি।মুর্খতা,হিংসা,অহংকার,উগ্রতায় জর্জরিত এখনো ভারত,,,গান্ধিজির আদর্শ ভারতবাসিকে ছুতে পারেনি আজো,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Tafikul Islam ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    ঘান্ধি বলেছিল! তোমার ধর্ম কেমন সেটা বোঝা জাবে অন্ন্য ধর্মের প্রতি তোমার আচরণ দেখে। পার্থক্যর এই জায়গাটি থেকে তিনিও নিজেকে উত্তরণ এর চেষ্টা করেছিলেন
    Total Reply(0) Reply
  • Murtuza Chowdhury ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    ধর্মান্ধ উগ্র উচ্চবর্ণের হিন্দুরা ভারতে সুধু মুসলিম ও খৃষ্টানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেনা তারা নিন্মজাতের হিন্দুদের উপর ও নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের এই ধর্মান্ধতা ভারতকে একদিন নরকে পরিনত করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Amir Ali Khan ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    We are all human being. Try to bear human quality. Try to respect other religion , other cast , other color because every one is created by Almighty Allah.
    Total Reply(0) Reply
  • Abul Kalam Azad ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    মনমোহন আর মোদীর শাসনকালটা তুলনা করলেই বুঝা যায় ভারতে কি রকম সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Titu Dewan ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
    অথচ তারা বলে আমাদের দেশেই নাকি সংখ্যালগুদের উপর হামলা হয়। এখন দেখি তারা ... মতো সন্ত্রাসী শুরু করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Raihan Islam ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
    যে চা এর দোকান করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছে সে ধর্ম সম্পরকে কি বুঝবে । ওদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ তবুও এই অবস্থা । আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষিত তিনি সব বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এই জন্য সমস্যা নাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ