পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রেফতার আতঙ্কে শ্রমিক এবং আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কমিটির কাছে শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশ কারণ ছাড়াই নির্বিচারে গুলি করেছে। নির্যাতিত শ্রমিকরা তাদের নানা বঞ্চনার বিষয়ও তুলে ধরেন। গত শনিবার রমজানে কর্মঘণ্টা কমানো, ইফতার ও মাগরিবের নামাজের বিরতি দেয়াসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিতে পাঁচজন শ্রমিক নিহত এবং ৩০জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩০জন এখনও হাসপাতালে।
এদিকে এস আলম ও পুলিশের দুটি মামলায় হাজার হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক, তাদের পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরাও রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিকদেরও আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে রাতে-দিনে পুরো এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতার আতঙ্কের আগেই এলাকা ছেড়ে গেছেন গ্রামের পুরুষেরা। পবিত্র রমজানের দিনেও পুলিশের ভয়ে বাড়িঘরে থাকতে পারছে না গন্ডামারার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। গ্রামবাসী হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তারের নেতৃত্বে সদস্যরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, শ্রমিক এবং পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। শ্রমিকরা তাদের উপর নির্বিচারে পুলিশ গুলি করেছে অভিযোগ করে ঘটনার বর্ণনা দেন। একইসাথে তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক পক্ষ তথা এস আলম গ্রুপের নানা অনিয়ম এবং শ্রমিকদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। এর আগে অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুটি তদন্ত কমিটি ঘটনার সূত্রপাত, কারণ এবং এর পেছনে কারা তার অনুসন্ধান করছেন। পুলিশের তদন্ত কমিটির একজন সদস্য জানান, সেখানে আন্দোলন দমাতে বল প্রয়োগ তথা গুলি করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন আগেই জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পুলিশের কারও দায় পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশের কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির ইনকিলাবকে বলেন, কোন অবস্থায় পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে তা তদন্ত কমিটির সামনে আমরা তুলে ধরছি। কত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়েছে তার হিসাবও আমরা জমা দিচ্ছি। এডিএম’র নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। আমাদের বক্তব্য নিয়েছেন। ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে তারা বাড়িঘরে না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান এবং মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।