Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানব জাতির জন্য ইসলাম

প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ. জেড. এম. শামসুল আলম
আল-কোরআনুল কারিমে আল্লাহতায়ালা মুসলিমদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন উম্মাত বা দল থাকবে যারা (মানুষকে) কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে। উম্মাতুন ইয়াদুউনা ইলাল খায়ের। তদুপরি মানুষকে সৎকাজের নির্দেশ দেবে এবং অসৎকার্যে নিষেধ করবে। তারাই হবে এমন দল যারা হবে সফলকাম (মুফলেহুন)।” (সূরাহ আল ইমরান ৩ : আয়াত ১০৪)।
দাওয়াতের লক্ষ্য : বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে কল্যাণের দিকে আহ্বানকারী এমন দল তেমন একটা দেখা যায় না। আল্লাহতায়ালার লক্ষ কোটি শুকরিয়া, উপমহাদেশভিত্তিক তাবলিগ জামাত এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। তবে তাদের লক্ষ্য নাস, বাশার, ইনসান বা মানব জাতি নয়। তাদের দাওয়াতের লক্ষ্য হলো মূলত মুসলিম উম্মাহ।
মুসলিম বনাম নাস : সকল মুসলিম নাস বা ইনসানের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সকল ইনসান নাস বা বাশার মুসলিম নয়। তারা মানব জাতির অন্তর্ভুক্ত। আল কোরআনে “মুসলিম” শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে মাত্র দুবার। বহু বচনে মুসলিমুনা শব্দটি আল কোরআনে উল্লিখিত হয়েছে ১৫ বার। নাস (মানব জাতি) শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে ২৪২ বার। ইনসান (মনুষ্য) শব্দটি উল্লেখ হয়েছে ৬৫ বার। বাশার (মানব) শব্দটি উল্লেখ হয়েছে ৩৭ বার।
ইকরা বনাম কুল : ইকরা অর্থাৎ পাঠ কর শব্দটি ব্যবহার হয়েছে আল-কোরআনে মাত্র ৩ বার। অন্যদিকে কুল অর্থাৎ বল শব্দটি আল-কোরআনে উল্লেখ হয়েছে ২৯৫ বার। আল-কোরআন পাঠ (ইকরাহ) করি খুব ভালো কথা। কিন্তু কোরআনের কথা আল্লাহতায়ালার বান্দা নাস বা মানব জাতির কাছে বলার জন্যে কুল শব্দের মাধ্যমে যে ২৯৫ বার বলা হয়েছে, তা সাধারণত করি না।
তিলাওয়াত বনাম দাওয়াহ : আল্লাহতায়ালার প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ (সা.) কোরআনের আয়াত নাজিল হওয়ার পর দিন-রাত, মাসের পর মাস হাজার হাজার বার কোরআন তিলাওয়াত এবং খতমে কোরআন করলে কাফিরগণ অসন্তুষ্ট হতো না। কিন্তু তাদের জন্য সমস্যা হয়েছে তিনি আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে যা পেয়েছেন তা অন্যকে বলেছেন এবং প্রচার করেছেন। আল-কোরআনের দিকে অমুসলিমদেরকে দাওয়াত দিয়েছেন। আল-কোরআন মুসলিমদের শুধুমাত্র তিলাওয়াতের কিতাব নয়। বরং মূলত প্রচার এবং দাওয়াহ এর কিতাব।
কাফিরদের নিকট কোরআনের বাণী প্রচার : আল-কোরআনের বাণী মক্কার কাফিরদের নিকট না পৌঁছালে প্রিয় নবীকে তার প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ত্যাগ করতে হতো না। তিনি মূলত কোরআনের বাণী অমুসলিম কাফিরদের নিকট প্রচার করতেন।
কাফির বনাম মুসলিম : আল-কোরআনে কাফির শব্দটি ব্যবহার হয়েছে ৫ বার। বহু বচনে কাফিরগণ শব্দটি কোরআনে এসেছে ৩৬ বার। বহু বচনে কাফিরীন শব্দটি কোরআনে এসেছে ৫০ বার। কোরআন শুধু মুসলিমদের তিলাওয়াতের কিতাব নয়। অমুসলিমদেরও পাঠের কিতাব। মুসলিম শব্দটি আল-কোরআনে উল্লেখ হয়েছে মাত্র দুবার।
কাদের মধ্যে রাসূলের দাওয়াতি কর্ম : আল-কোরআনের বাণী শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যে নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেননি। তিনি কাফির, মুশরিক, ইয়াহুদ, নাসারা ইত্যাদি সকল বাশার, নাস, ইনসানের মধ্যে দাওয়াতি কর্ম পরিচালনা করেছিলেন।
স্বেচ্ছাগত বনাম জন্মগত মুসলিম এবং অমুসলিম : লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ আছে যারা স্বেচ্ছায় ইয়াহুদ, নাসারা, অমুসলিম, মুশরিক, কাফির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনি। বর্তমান মুসলিম উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত আছে হাফ মুসলিম, কোয়ার্টার মুসলিম, নামে মাত্র মুসলিম বা বিশ্বাসগতভাবে কাফির। তাদের জন্যে অপশন থাকলে তারা অনেকে হয়তো মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে চাইত না।
অমুসলিমদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত : অন্যদিকে এমন বহু অমুসলিম আছেন, যাদের অপশন থাকলে তারা অনেকে মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে চাইতেন। তাদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত ভালোভাবে পৌঁছালে তারা ইসলাম কবুল হয়তো করতেন। আজও অনেকে ইসলাম কবুল কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই করছেন।
কোরআন অবতীর্ণ করার কারণ : আল-কোরআনুল কারিম আল্লাহতায়ালা অবতীর্ণ করেছেন। কী উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ করেছেন তা আল্লাহতায়ালাই সবচেয়ে ভালো জানেন। সূরাহ ইব্রাহিমের প্রথম আয়াতে আল্লাহতায়ালা কোরআন নাজিলের উদ্দেশ্যে ব্যাখ্যা করেছেন। যে যে মুসলিমদের তা অনুধাবন এবং বোঝার ইচ্ছা থাকে, তা হলে তারা অতি সহজেই বুঝতে পারবেন।
মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনয়ন : সূরাহ ইব্রাহিমের ১নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা কোরআন কারিমের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, এ কিতাব (কোরআন) আপনার (মুহাম্মদ) প্রতি অবতীর্ণ করেছি যাতে আপনি “মানব জাতিকে (নাস)” তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমেই অন্ধকার (জুলুমাত) হতে আলোতে (নূর) বের করে আনতে পারেন, তাঁর পথে, যিনি পরাক্রমশালী এবং প্রশংসার যোগ্যতম (সূরাহ ইব্রাহিম ১৪ : আয়াত ১)।
সূরাহ ইব্রাহিমের ১নং আয়াত হতে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে আল-কোরআনের বাণী শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নাজিল হয়নি। কোরআনের বাণী নাজিল হয়েছে “সমগ্র মানব জাতির” জন্যে। মুসলিমগণ ওই কোরআনকে তাদের ইজ্জতের বা মর্যাদা দখলের উছিলায় নিজেদের জাতিগত সম্পত্তিতে পরিণত করে রেখেছেন। বুঝে হোক না বুঝে হোক তারা বড় গোমরাহির মধ্যে আছেন।
শুধুমাত্র মুসলিমদের তিলাওয়াত দিয়ে মানব জাতির হিদায়েত? : উপরোক্ত আয়াতে এটা স্পষ্ট যে, আল-কোরআন নাজিল হয়েছে মানব জাতিকে অন্ধকার হতে আলোতে আনয়নের উদ্দেশ্যে। যারা আল্লাহতায়ালার এ হুকুম পালন করবে তাদের প্রতি আল্লাহ হামিদ বা প্রশংসা গ্রহণকারী। যারা এ কোরআনের সাহায্যে মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনবেন না, তাদেরকে শাস্তিদানে আল্লাহতায়ালা মহাপরাক্রমশালী।
কোরআনের যে আয়াত বা বাণী আল্লাহতায়ালা মানব জাতির জন্যে পাঠিয়েছেন তা আল্লাহতায়ালা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনয়নের জন্যে যে কোরআন, তা মুসলিমগণ শুধু তিলাওয়াত করলে চলবে না। এটা যাদের লক্ষ্য করে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, তাদের কাছে এ কোরআনের বাণী পৌঁছাতে হবে। তা না করে শুধু নিজেরা হাজার বা লক্ষবার তিলাওয়াত করলে তা মানব জাতির নিকট পৌঁছাবার দায়িত্ব পালন হবে না।
বাশির এবং নাজির : আল কোরআনের সূরাহ আল ইমরানোর ১১০নং আয়াতে বলা হয়েছেÑ মানব জাতির জন্যে মুসলিমদের অভ্যুত্থান হয়েছে। তাদের দায়িত্ব হলো সৎকর্মের নির্দেশ এবং অসৎকর্মের বাধা দান। আল-কোরআনের সূরা সাবা এর ২৮নং আয়াতে মুসলিমদেরকে মানব জাতির জন্যে আরও দুটো দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তা হলো সুসংবাদদাতা (বাশির) এর সতর্ককারী (নাজির) হিসেবে।
সুসংবাদ এবং সতর্ক বাণী মানব জাতিকে পৌঁছাতে হবে : মানব জাতির সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী হতে হলে মুসলিমদেরকে অবশ্যই মানব জাতির জন্যে কি আমল কল্যাণকর ওই সুসংবাদ তাদেরকে দিতে হবে এবং মানব জাতির জন্যে কি কর্ম তাদের সর্বনাশা ওই কর্মসমূহ সম্বন্ধে তাদেরকে সতর্ক করতে হবে।
মুসলিমদের মানব জাতির সুসংবাদদাদা হতে হলে অবশ্যই জানতে হবে কী কী কাজ মানব জাতির জন্যে সুসংবাদ বয়ে আনবে এবং কী কী তাদের জন্যে ক্ষতিকর হবে। অবশ্যই মানব জাতির জন্যে সুসংবাদ হলো ঈমান ও ঈমানুসারে আমল। ক্ষতিকর হবে কুফর এবং নিষিদ্ধ (হারাম) কর্ম। কুফর হলো আল্লাহ ভিন্ন অন্য ¯্রষ্টায় বিশ্বাস এবং আল্লাহ ভিন্ন অন্য শক্তির পূজা-অর্চনা।
দ্বীনের খবর, ইমান এবং নেক আমলের খবর মুসলিমগণ নিজেরা জানল এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের ইচ্ছায় নয় বরং ¯্রষ্টার ইচ্ছায় যাদের জন্ম কাফির পরিবারে হলো তাদের কাছে ঈমান এবং কুফরের খবর পৌঁছল না। এক্ষেত্রে তাদের কুফরি জন্মের এবং জীবনের আমলের জন্যে শুধু তারা কীভাবে দায়ী হবে।
মা’রূপ ও মুনকার; বাশির ও নাজির : মানব জাতিকে ‘আমর বিল মারূপ’ সুকর্মের আদেশে এবং ‘নাহি আনিল মুনকার’ মন্দ কাজের নিষেধ সম্পর্কীয় কোরআনের মাধ্যমে প্রেরিত খবর অমুসলিমদেরকে অবহিত করা মুসলিমদের দায়িত্ব। এ জন্যেই তাদেরকে মানব জাতির জন্য বের করা হয়েছে (উখরিতাত লিন্নাম) এবং এ দায়িত্ব পালন করেই তারা হবে খায়রা উম্মাতিন বা শ্রেষ্ঠ জাতি।
খায়রা উম্মাতি (শ্রেষ্ঠ উম্মাত) হওয়ার পদ্ধতি : ইসলাম মতে নিষিদ্ধ কর্ম এবং আল্লাহতায়ালার আমর বা হুকুমের খবর মুসলিমগণ কর্তৃক অমুসলিমদের নিকট না পৌঁছায়ে মুসলিম উম্মাহ জান্নাতে যাবে এবং খবর না পেয়েও কাফিরগণ জাহান্নামে যাবে এটা কেমন বিচার হবে।
মারূপ সম্বন্ধে সুখবর এবং মুনকার সম্বন্ধে কাফিরদেরকে সাবধান করে দেওয়ার দায়িত্ব মুসলিম উম্মাহরই। কারণ, মুসলিমদের মাধ্যমেই এবং তাদের কিতাবেই আল্লাহ তার কাফির বান্দাদের জন্য সুখবর এবং সাবধান বাণী প্রেরণ করেছেন। এ দায়িত্ব পালন না করে যারা শুধু সালাত, হজ এবং সিয়াম পালন করছেন তাদের এ সালাত, হজ এবং সিয়াম কীভাবে কবুল হবে? সুবিবেচকদের একটু হলেও এটা ভেবে দেখা দরকার।
একটি আয়াত (বাক্য) দিয়ে হলেও দাওয়াত : বিদায় হজকালে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তার ভাষণে বলেছিলেন “তোমরা প্রত্যেকে আমার একটি আয়াত বা বাক্য হলেও অন্যের নিকট তা পৌঁছিয়ে দাও” (তিরমিজি, আল জামিউল সাহীহ, ইলম অধ্যায়, খ- ৫, পৃ. ৪০)। ড. মুহাম্মদ আবদুর রহমান আনওয়ারী, ইলামী দাওয়াতের পদ্ধতি ও আধুনিক প্রেক্ষাপটে পৃ. ১৫-১৬।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শুধুমাত্র একটি মাত্র, একটি বাক্য নয়, এখন ব্যাপক অনুবাদের ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাজার হাজার হাদিস বা বাণী আমরা অবহিত। এমন লক্ষ লক্ষ মুসলিম, এমনকি কোটি কোটি মুসলিম পাওয়া যাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বহু হাদিস এবং সুন্নাহ অবহিত হওয়া সত্ত্বেও একটি বাক্য, জীবনে কোনো একটি হাদিসও কোনো অমুসলিমের নিকট পৌঁছিয়ে দেননি।
দাওয়াতের চেতনাহীনতা : দ্বীনের বাণী অমুসলিমদের মধ্যে পৌঁছিয়ে দেয়া যে প্রয়োজন এ চেতনা এবং অনুভূতি কোটি কোটি মুসলিমদের মধ্যে নেই। বরং তারা উল্টা তর্ক করে বলেন মুসলিমই ইসলাম মানে না। অমুসলিমদের নিকট ইসলামের বাণী পৌঁছালে কী লাভ? কি প্রয়োজন?
আমাদের মধ্যে এমন বহু লোক আছেন যারা নিজেরা তো দ্বীনের বাণী অমুসলিমদের নিকট পৌঁছাবেন না, তদুপরি অন্যদেরকে এ মহান আমলে নিরুৎসাহিত করেন। যারা এ নেক আমলে ব্যর্থ হন, তাদের আমল নিয়ে হাসি, ঠাট্টা, তামাশা করেন।
দাওয়াতি আমলে হযরত নূহ (আ.)-এর সুন্নাত : হযরত নূহ নবী (সা.)-এর নবুওয়াতি জিন্দেগী ছিল ৯০০ বছরের । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন তৎকালীন আদম সন্তানের ধারে ধারে নূহ (আ.) আল্লাহতায়ালার বাণী ও দাওয়াত নিয়ে ঘুরতেন। কিন্তু তার সুপরিচিত আপনজন, এমনকি তার পুত্র এবং স্ত্রী তার আমল নিয়ে তাকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করত। কিন্তু তিনি এক দিনের জন্য তার আমল ছেড়ে দেননি।
দলের এক অংশের দাওয়াহর কাজে অংশগ্রহণ : যদি কোনো মুসলিম দলের সকলে দাওয়াতের আমলে এবং সফরে বের হতে না পারেন, তবে তাদের পক্ষ থেকে কেউ কেউ অন্তত দ্বীনি কাজের সময় দিতে পারেন। তারা গ্রুপে গ্রুপে পালাক্রমে দ্বীনের দাওয়াতে বের হতে পারেন।
আল কোরআনে মুসলিমদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে তাদের (মুমিনদের) সকলের একসঙ্গে অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাদের প্রত্যেক দলের (ফিরফাহ) এক অংশ কেন বহির্গত হয় না, যাতে তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞানানুশীলন করতে পারে।
এ প্রশ্ন আল-কোরআনে এসেছে, যদি কোনো মুসলিম দলের সকলে একসঙ্গে দাওয়াতের আমলে এবং সফরে বের হতে না পারে, তবে তাদের পক্ষ থেকে কেউ কেউ অন্তত দ্বীনি কাজে বের হতে পারেন। তারা গ্রুপে গ্রুপে পালাক্রমে দ্বীনের দাওয়াতে বের হতে পারে। তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারেন যখন তারা ওদের নিকট ফিরে আসবে, যাতে ওরা সতর্ক হয় (সূরা তাওবাহ ৯ : আয়াত ১১২)।
রিসালাতের খলিফা : আল্লাহতায়ালা নবী রাসূল পাঠিয়েছেন আল্লাহতায়ালার পথহারা বান্দাদেরকে সঠিক পথ দেখাবার জন্য। যে ভ্রান্তিতে বা ভুল পথে আল্লাহতায়ালার বান্দাগণ আছে তা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে। নবুওয়াতের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দ্বীনের বাণী প্রচার করার দায়িত্ব পড়েছে রাসূলের সকল উম্মাতের ওপর। সমষ্টিগতভাবে জামাতবদ্ধ হয়ে এবং অবশ্যই অন্যভাবেও ইলামের দাওয়াহ এর আমল করতে হবে। উদাসীন মুসলিম এবং অমুসলিমদের নিকট দাওয়াহ এর বাণী অবশ্যই পৌঁছাতে হবে।
লেখক : সাবেক সচিব, ইসলামী চিন্তাবিদ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানব জাতির জন্য ইসলাম

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন