মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ওই সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার কথা। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২০ বছরের যুদ্ধে কত খরচ হয়েছে তার হিসাব শুরু হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভারসিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে গত ২০ বছরে মার্কিনীদের খরচ হয়েছে ২.২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি বছর মার্কিন সেনাদেরকে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলেও এ খরচ আরো বাড়বে।
রিপোর্ট অনুসারে মোট খরচের শতকরা ৪১ ভাগ বা ৯৩৩ বিলিয়ন ডলার এসেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের ওভারসিজ কন্টিনজেন্সি অপারেশন্স খাত থেকে। আফগান যুদ্ধের মোট খরচের ২৯৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে আফগান ফেরত সেনাদের চিকিৎসার জন্য।
বিবিসি জানায়, আফগানিস্তানে এখনো আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন সেনা দায়িত্বরত আছেন। যুক্তরাজ্যের আছেন ৭৫০ সেনাসদস্য। দীর্ঘ দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অবস্থানের উচ্চ মূল্য সব পক্ষকেই চুকাতে হয়েছে। সেই মূল জীবন দিয়ে, জীবনযাপননে ক্ষতি এবং অর্থমূল্যে শোধ করতে হয়েছে।
বিবিসি জানায়, আফগান যুদ্ধের সারসরি ফল হিসেবে এ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মারা গেছে দুই লাখ ৪১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে ২,৪৪২ জন মার্কিন সেনা, ছয়জন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বেসামরিক লোক, ৩,৯৩৬ জন মার্কিন ঠিকাদার এবং মিত্র জোটের ১,১৪৪ জন সেনা। যুদ্ধে ৬৬ হাজার থেকে ৬৯ হাজার আফগান সেনা ও পুলিশ মারা গেছে, পাকিস্তানের সেনা মারা গেছে ৯,৩১৪ জন।
২০ বছর হতে চলেছে, এখনো আফগানিস্তানে শান্তি ফেরেনি। গবেষক দল ‘অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্স’ গ্রুপের তথ্য মতে, ২০২০ সালেও বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি মানুষ আগানিস্তানে নিহত হয়েছেন।
আল-কায়দা, ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা অন্যান্য জঙ্গিদলের কোনোটিই সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি। পশ্চিমা বাহিনীর বাকি সদস্যরা চলে গেলে দেশটিতে তাদের পুনরুত্থান হবে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।