বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে লকডাউনে শপিংমল ও বিপণিবিতান বন্ধ থাকলেও ভিন্নচিত্র পৌর বাজারসহ উপজেলার আঠারবাড়ি, সোহাগী, মহেশপুর, উচাখিলা, মধুপুর, মাইজবাগ, জাটিয়া, সুটিয়া তারুন্দিয়া, নশতি ও লক্ষীগঞ্জসহ আরো বিভিন্ন বাজারের।
এসব বাজারের বেশিরভাগ দোকানে অর্ধেক শাটার খুলা বা তালা ঝুলিয়ে মালিক-কর্মচারীরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকছেন, এরপর ক্রেতা বুঝে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বিক্রি শেষে আবার তালা ঝুলাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লকডাউন কঠোর ভাবে মনিটরিং করলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে এমন ভাবে কেনা বেচার কাজ।
এঅবস্থায় পুরো উপজেলা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন। এতে সাধারণ মানুষ সরকারি নির্দেশ অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বাজারের দিকে ঝুকছেন।
লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হলেও কিন্তু রাস্তায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র সব রাস্তায় একদিকে যেমন রিকশা-অটো, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত অসংখ্য গাড়ি; অন্যদিকে মানুষের ঘুরাফেরা। এমন পরিস্থিতির কারণে মানুষ ছোট ছোট অজুহাতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছে।
রোববার এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় দোকানের একটি শাটার খোলা রেখে ভিতরে চলছে কেনা বেচা।
এছাড়াও কোথাও কেসি গেইটে তালা দিয়ে দোকান খোলা রেখে ভিতরে চলছে কেনা বেচা, কোথাও অর্ধেক শাটার খুলে ভিতরে চলছে কেনা বেচা। আবার কোথাও ক্রেতা ভিতরে ঢুকিয়ে শাটার এবং কেসিগেইটে তালা ঝুলিয়ে মালিক বা কর্মচারী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকছেন। বিক্রি সম্পন্ন করে মিসকল অথবা ভিতর থেকে শাটারে শব্দ শুনলেই তালা খুলে দিচ্ছেন বাইরে অপেক্ষমাণ কর্মচারী। এমন সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি দেখলেই তাড়াহুড়ো করে শাটার বন্ধ করে ভিতরে থেকে যায়। এমন ব্যবসা যেন উপজেলায় এখন ওপেন সিক্রেট।
এদিকে এবারের লকডাউনে উপজেলার পৌর শহরের অধিকাংশ চায়ের দোকান বন্ধ থাকলেও গ্রামে গ্রামে পাড়া-মহল্লা, চা বিক্রি ও ওঠতি বয়সী ছেলেদের আড্ডা বা অহেতুক ঘুরাফেরা কমেনি। প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি দেখলেই তাৎকনিক কিছুটা আড়ালে চলে যায়। এরপর গাড়ি চলে গেলে আবারো রাস্তায় আড্ডা বা ঘুরাঘুরি শুরু করে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা জানান, কয়েকটি দোকান ঘুরে বিভিন্ন সামগ্রী কিনেছেন। দাম একটু বেশি নিলেও দোকান খোলা পাওয়ায় খুশি তারা।
তারা আরো জানায়, এসব দোকানের শাটার বন্ধ ছিল। বাইরে অপেক্ষমাণ মালিক-কর্মচারীরা তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে আবার তালা ঝুলিয়ে দেন।
তারা আরো জানান, দোকানের ভিতরে আরো ক্রেতা ছিল। মালামাল কিনে ভিতর থেকে টুকা দিতেই শাটার খুলে দেন এবং তারা বেরিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু দোকান মালিক জানান, যেহেতু লকডাউন চলছে তাই তাদের ব্যবসাকে ধরে রাখতে এমন লুকোচুরি করে ব্যবসা করতে হচ্ছে। এতে আমরা বিক্রি করে মোটামুটি চলতে পারতেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।