Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের বিরোধিতা করল ভারত

বঙ্গোপসাগরে মহিসোপান

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

বঙ্গোপসাগরের মহিসোপানে বাংলাদেশের দাবির ওপর আপত্তি তুলেছে ভারত। তবে প্রতিবেশী মিয়ানমার বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে আপত্তি না জানিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। দুই প্রতিবেশীর বিরোধিতার কারণে মহিসোপানের জটিলতা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমরা উভয় দেশ যে কাগজ জমা দিয়েছে সেটি দেখেছি। মিয়ানমারের পর্যবেক্ষণের জবাব আমরা শিগগিরই জমা দেবো। তিনি বলেন, যেহেতু ভারত মাত্র তাদের আপত্তি জমা দিয়েছে, আমরা এটি স্টাডি করে এর জবাব প্রস্তুত করবো। জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল (শুক্রবার) জাতিসংঘের মহিসোপান নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে বাংলাদেশের দাবির বিরোধিতা করে ভারত। ভারত বাংলাদেশের দাবি বিবেচনায় না নেওয়ার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করে। এর আগে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের দাবির প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু ভারতের মতো বাংলাদেশের দাবির প্রতি আপত্তি জানায়নি দেশটি। বাংলাদেশ আইনগতভাবে মহিসোপানের যতটুকু প্রাপ্য সেটি থেকে নিজেদের অংশ দাবি করছে মিয়ানমার।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মহিসোপানের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘে আবেদন করে বাংলাদেশ, যাতে গত বছরের অক্টোবর মাসে আবার সংশোধনী আনা হয়।

শুক্রবার জাতিসংঘের সিএলসিএস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতের আপত্তিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভূখন্ডের যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে মহিসোপান নির্ধারণ করেছে, সেটির মাধ্যমে ভারতের মহিসোপানের একটি অংশ দাবি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে যে ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে সেটির বিষয়ে বাংলাদেশ কোনও তথ্য দেয়নি। ’গ্রে এরিয়া’ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে একটি ছোট অংশ যেখানের পানির মধ্যে যে সম্পদ রয়েছে, যেমন মাছ, সেটির মালিক ভারত; কিন্তু মাটির নিচে যে খনিজ পদার্থ আছে সেটির মালিক বাংলাদেশ। এই অংশের পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গ কিলোমিটার। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, সমুদ্র সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ নিজ ভূখন্ডের বেসলাইন নির্ধারণ করেছে এবং এ সম্পর্কিত তথ্য জাতিসংঘে জমা দেওয়া হয়েছে। যদি তুলনা করা হয় তবে বাংলাদেশের থেকে ভারতীয় ভূখন্ডের বেসলাইন অনেক বেশি আগ্রাসী। গ্রে এরিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই ছোট অংশটি বঙ্গোপসাগরের যে ওয়াটার কলাম তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সঙ্গে মহিসোপানের দাবির কোনও সম্পর্ক নেই। স্বাভাবিকভাবেই এটি মহিসোপানের দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি বলেন, ভারত যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে তাদের মহিসোপান দাবি করছে, সেটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে আপত্তি জানিয়েছিল যা এখনও বলবৎ আছে।



 

Show all comments
  • Burhan uddin khan ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ৫:২৪ পিএম says : 0
    Beside bangladesh sea area might be accepted by tbe international authority.
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:০৫ পিএম says : 0
    Until and unless we rule our beloved country by Qur'an we will not be able to tackle the Kafir India... Allah put's fear in the heart of the Kafir.. in the past muslim were few but they have defeated two super power and muslim become super power. We rule India more than 800 years, we were few in numbers but we rule India with justice, again we will rule India InshaAllah.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গোপসাগর

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ