Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ম্যাচ বাড়ছে বাংলাদেশের!

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশসহ চার দেশের চাপের মুখে মাত্রই টেস্টে দ্বি-স্তরের ভাবনা থেকে সরে এসেছে আইসিসি। তবে ক্রিকেটে কাঠামোগত পরিবর্তনে ঠিকই কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। কয়েক দিন আগেই একটা সাক্ষাৎকারে ওয়ানডে নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সোজাসাপ্টাই বলে দিয়েছিলেন, পাঁচ ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজের কোনো যৌক্তিকতা দেখেন না তিনি। বিশেষ করে যেখানে শেষের ম্যাচগুলো শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। বিষয়টি ভাবাছে আইসিসিকেও। ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান পদ্ধতিটা তাই ঢেলে সাজানোর একটা উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। টেস্টে আইসিসির দুই স্তরের ক্রিকেটের পরিকল্পনা ভেস্তে গেলেও ওয়ানডে ও টি-২০’তে কাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। আইসিসির নতুন প্রস্তাবে এখনকার ‘এফটিপিই’ থাকছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছেন এসব। তবে অক্টোবরে ডারবানে পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
নতুন নিয়মে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য অলিখিত একটা বাছাইপর্ব। আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া ১৩টি দেশ ৩ বছরে একে অন্যের মুখোমুখি হবে। সবাই সবার সঙ্গে অন্তত একটা করে সিরিজ খেলবে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে কারা খেলবে, সেটা ঠিক হবে এই সিরিজগুলোর ফলের হিসাবে। আর শেষ বছরে যেসব দল বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নিতে পারবে না, তারা নিজেদের মধ্যে প্লে-অফ খেলবে।
শুধু ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও একই ধরনের পদ্ধতি চালু হতে পারে। যদি তাই হয়, তবে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সীমিত ওভারের ম্যাচ থাকতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, তথাকথিত বড় দলগুলো যাদের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আগ্রহী হয় না; তাদের বিপক্ষেও এখন অন্তত একটি সিরিজ খেলতেই হবে। বাংলাদেশই যেমন তিন বছরে ১২টি দলের বিপক্ষে খেলবে সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে। এখনকার সিরিজগুলোতে কটি ম্যাচ হবে, তারও ঠিক নেই। তবে আইসিসি নিয়ম করে দিচ্ছে, প্রতিটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের করে।
বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও একটি পরিবর্তন আসছে। দুই বছর পর পর র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই দেশ মুখোমুখি হবে। সেখান থেকেই নির্ধারণ করা হবে চ্যাম্পিয়ন। সেটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসি। ২০১৯ সালের দিকে নতুন এই সংস্করণ শুরু হতে পারে। আরো বিস্তারিত কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লোরগাত তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সকল বোর্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর সেরা সমাধান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, কিছু সদস্য দেশ দুই স্তরের টেস্ট ক্রিকেট কাঠামোতে সমর্থন দেয়নি। তাই বিদ্যমান র‌্যাঙ্কিংয়ে একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন বিকাশে আমাদের ভিন্ন উপায় বের করতে হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ম্যাচ বাড়ছে বাংলাদেশের!

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ