নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন তিন বছর হল। ওয়ানডের জার্সিও খুলেছেন ঘরের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। গতকাল ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাও খেলে ফেললেন তিলেকারতেœ দিলশান। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচের (২ রান) মত ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও আলো ছড়াতে পারেননি ‘দিলস্ক্রুপ’এর জনক। আউট হন ১ রান করে। কিন্তু মাঝের সময়টাতে তার ব্যাট প্রতিপক্ষ বোলদের ওপর কি আচরণ করেছে তা সবারই জানা। প্রতিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ছড়ানো বিশ্বের কয়েকজন ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। ৮০ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে ২৬.৬০ গড়ে করেছেন ১৮৮৯ রান। আছে একটি শতক ও ১৩টি অর্ধশতকের ইনিংস।
ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে তার মতই ব্যর্থ তার দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রেমাদাস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভাওে ১২৮ রান কওে শ্রীলঙ্কা। একমাত্র ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ছাড়া কেউই নামের সুবিচার করতে পারেননি। ওয়ান ডাইনে নেমে ৫০ বলে ৬২ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ ওভারে আউট হন তিনি। আরেক স্বতির্থ কুশল পেরেরা (১৮ বলে ২২) ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ৩টি কওে উইকেট নেন ফাকনার ও জাম্পা, ২টি হ্যাস্টিংস। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দলীয় সংগ্রহে ২৬৩ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল অজিরা।
জবাবে জয়ের পথেই আছে সফরকারিরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ৭৫ রান করেছে তারা।
১৯৯৯ থেকে ২০১৬
ষ ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তিলেকারতেœ দিলশানের। দলের টপ অর্ডার পোক্ত করতেই তাকে দলে আনা হলেও প্রথম কয়েক বছর দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন পজিশনে ব্যাট করতে হয়েছে তাকে।
ষ ২০০৪ সালের শেষ দিকে ৫ বছরে ৩১.৭০ গড়ে ২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন দিলশান। ততদিনে ৫২ ওয়ানডেতে ২৮.৮০ গড়ে রান করলেও শতকের দেখা পাননি।
ষ ২০০৯ সালটা ছিল সাদা জার্সিতে তার সেরা সময়। ৬৪.৫২ গড়ে ১০৯৭ রান করে হন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার।
ষ ঐ বছরই লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন দিলশান। এরপর থেকে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই দলের অপরিহার্য ওপেনিং ব্যাটসম্যানে পরিণত হন তিনি।
ষ ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ১৪৪.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৩১৭ রান করেন দিলশান। এসময় নান্দনিক ব্যাটে জন্ম নেয় নতুন এক শটের, নাম- দিলস্ক্রুপ।
ষ আদতে তিনি বোলার না হলেও দলের প্রয়োজনে কখনো কখনো হাত ঘুরিয়েছেন। একদিনের ক্রিকেটে অফ স্পিনে ১০৬টি উইকেটেও আছে তার।
ষ ফিল্ডার হিসেবে যে কোন অধিনায়কের প্রথম পছন্দ হবেন দিলশান। যে কোন পজিশনেই তিনি সেরা ফিল্ডার। একবার তিনি বলেছিলেন, ‘যদি ৩০০টা বলই আমার কাছে আসে, তাহলেও আমি খুশি হব।’
ষ তিনটি করে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে এবং ৫টি টি-২০তে উইকেট কিপিংও করেছেন তিনি।
ষ ২০০৯ সালটাই সম্ভবত স্বপ্নে মত কাটিয়েছেন দিলশান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯২ বলে ১০৬ করার পর ভারতের বিপক্ষেও রাজকোট ও নাগপুরে টানা তিন ম্যাচে শতক হাকান।
ষ স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার হিসেবেও বিশ্বের কয়েকজনের মধ্যে দিলশানও একজন।
ষ ২০১১ বিশ্বকাপের পর দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব আসে তার কাঁধে। এই পর্বে ব্যর্থ হলেও সাদা জার্সিতে লর্ডসে ক্যারিয়ার সেরা ১৯৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ষ একই সময়ে টি-২০তে ৫৭ বলে অপরাজিত ১০৪ রান করে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই শতক হাকানো বিরল ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত হন দিলশান।
ষ টেস্টে দিলশানের সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (৭২ গড়ে ১০০৮ রান)। ক্যারিয়ারের শেষ শতকও করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে। একই সিরিজে নিজের শেষ টেস্ট খেলেন তিনি।
ষ ২০১৫ সালে ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এক দিনের ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূর্ণ করেন।
ষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচে ৪২ রান করেন তিনি। ডাম্বুলায় সেদিন হাজার হাজার শ্রীলঙ্কান হাজির হয়েছিল তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে বিদায় জানাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।