পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনা সংক্রমণের এক বছরেও আক্রান্তদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়েনি- গণমাধ্যম ও জনস্বাস্থ্যবিদদের এমন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। একইসঙ্গে এ ধরনের মন্তব্যের জন্য সাংবাদিক ও জনস্বাস্থ্যবিদদের এক হাত নিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিকদের নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে চিকিৎসক-নার্সরা করোনাবিরোধী যুদ্ধে মনোবল হারাচ্ছেন। এদিকে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টিকা কার্ড সঙ্গে নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই কেন্দ্রে যাওয়া যাবে। একই সঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরাত দিয়ে বলা হয় টিকা দিলে রোজা ভাঙবে না।
তিনি বলেন, ভুলত্রæটির ঊর্ধ্বে কেউ না। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি সমালোচনার সময় না এবং তাঁদের সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। মহাপরিচালক বলেন, কিছু পত্র-পত্রিকা এমনভাবে আমাদের সমালোচনা করছে, যেটা আমাদের মনোবলকে ভেঙে দিচ্ছে। সারা পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই, যারা স্বাস্থ্যখাতে কাজ করেন তাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য সমালোচনা করা হয়।
বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করার সংবাদ গণমাধ্যমে তুলে ধরার কারণে সাংবাদিকদের কড়া সমালোচনা করে মহাপরিচালক বলেন, বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারের যন্ত্রপাতি উধাও হয়নি, প্রয়োজন অনুসারে সারা দেশে বণ্টন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বসুন্ধরায় আইসোলেশন সেন্টার চালাতে মাসে ৬০ লাখের বেশি টাকা খরচ হতো। ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি রোগী থাকত না। হাজারের বেশি জনবল ছিল, যাদের পেছনেও খরচ ছিল। একই সঙ্গে ওই সময়ে প্রয়োজন না থাকায় এবং ব্যয় সংকোচন করার জন্য আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
জনস্বাস্থ্যবিদরা তীব্র সংকটের মুহুর্তেও রোগীদের পাশে না দাঁড়িয়ে কেবল সমালোচনার বুলি আওড়াচ্ছেন অভিযোগ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের অনেক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আছেন; যারা একদিনও কোনো রোগীর পাশে গিয়ে দাঁড়াননি। তারা (জনস্বাস্থ্যবিদরা) এখন টেলিভিশন টকশোতে গিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আপনারা হাসপাতালে রোগীর পাশে দাঁড়ান। সেটা না করে টেলিভিশনে গিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন।
চিকিৎসকরা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দাবি করে ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গত এক বছর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা মানসিক বৈকল্যে ভুগছেন। তারা অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছেন। দিনের পর দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ সময়ে যদি আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের বিরূপ সমালোচনায় মেতে থাকেন। তাহলে আমাদের সবার মানসিক অবস্থা কেমন দাঁড়াবে সেটা কি আপনারা ভেবে দেখেছেন?
এ সময় স্বাস্থ্যখাতের নানা সীমাবদ্ধতা ও সমস্যার কথা স্বীকার করে মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা কোভিড সংক্রমণের পর থেকে স্বাস্থ্যখাতের তুলনামূলক নানা অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা নতুন অনেক শয্যা তৈরি করেছি। আমি এখানে বলতে চাই- এই সংখ্যা তিন হাজার ৬৩৮টি। কোনো কোনো হাসপাতালে এসব শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে তার তালিকা আমাদের কাছে আছে। আপনারা দয়া করে ওখানে গিয়ে খুঁজে বের করবেন যে, আমরা যা বলছি তার সত্যতা আছে কিনা?
ডিএনসিসির মহাখালীর মার্কেটে করোনা হাসপাতাল নিয়ে সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেখানে আগামী সপ্তাহে ২০০ শয্যার আইসিইউ চালু হবে। এই হাসপাতালে মোট ১ হাজার ১৫০ শয্যার চিকিৎসাব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা কোনো অভিনন্দন পাইনি। এ ছাড়া জানান, গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার ৬৩৮টি শয্যা তৈরি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।