Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইফতারের পর অলিগলিতে চায়ের আড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৪৭ পিএম

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটা। রাজধানীর পান্থপথ এলাকার অলি-গলিতে মানুষের ছোট ছোট জটলা। কমবেশি প্রতিটি জটলায় চলছে খোশগল্প।

আড্ডা আর খোশগল্পে মেতে ওঠা এসব লোকজনের কারও মুখে মাস্ক আছে তো কারও মুখে নেই। আর সামাজিক দূরত্ব এসব জটলা থেকে অনেক দূরে। গায়ে গা ঘেঁষে হাসি-ঠাট্টায় মত্ত তারা।

শুধু পান্থপথই নয় সরেজমিনে রাজধানীর গ্রিনরোড, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, ক্রিসেন্ট রোডসহ বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক ও অলিগলিতেই এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বাসা থেকে অপ্রয়োজনে বের না হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। বেশিরভাগই বের হয়েছেন অপ্রয়োজনে। আবার অনেকে অতি-উৎসাহী হয়ে সড়কে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান দেখতে।

পান্থপথ মসজিদের সামনের সড়কে কথা হয় কয়েকজনের। সড়কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কেউই সঠিক কারণ জানাতে পারেননি। তারা বলছেন, ইফতারের পর মসজিদে নামাজ আদায় করে কিছুটা সময় পরিচিতজনদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি তারা বাসায় ফিরে যাবেন।

রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালের পাশ দিয়ে কলাবাগান প্রবেশের সড়কেও দেখা গেছে মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়েছেন। কলাবাগানের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘ভাইরে, সারাদিন তো বাসায় ছিলাম। ইফতার করে একটু বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছি, বাসায় ফিরে যাব।’

এই সড়ক ধরে সামনে এগোতেই দেখা গেল একটি পুলিশের গাড়ি পান্থপথের দিকেই এগিয়ে আসছে। দূর থেকে পুলিশ সাধারণ মানুষকে বাসায় ফিরে যাওয়ার ইশারা দিতেই মানুষ এদিক-ওদিক ছুটে চলে যায়। পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবার অনেককেই সড়কে ফিরে আসতে দেখা যায়।

গ্রিন রোড ঢাকা টাওয়ার থেকে একটু সামনেই ২০০ নম্বর তাকওয়া গলির সঙ্গে মূল সড়ক লাগোয়া একটি ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে দেখা যায়, চা খেতে আসা মানুষের ভিড়। সেখানে কথা হয় জলিল মিঞার সঙ্গে। তিনি জানান, তারাবির নামাজের আগে চা খেতে সড়কে এসেছেন।

রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের আশপাশে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলো খুলতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে খুব সহজেই দ্রুত পালিয়ে যাওয়া যায়, এমন জায়গাগুলোতে সন্ধ্যার পর বসছে ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকান। গ্রিন রোডে কথা হয় এক চা দোকানির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের দৌড়ানি খেতে হবে জেনেও রাস্তায় তো এমনি আসি নাই রে ভাই। ইনকাম একেবারে বন্ধ থাকলে সংসার চালানো তো সম্ভব হবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অলিগলিতে চায়ের আড্ডা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ