Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে কলেজ শিক্ষক খুন স্বজনদের দিকে সন্দেহের তীর

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা আরাকান হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে উদ্ধারকৃত কলেজ শিক্ষক ইকবাল হোসেন চৌধুরীর লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং এটি পরিকল্পিত হত্যাকাÐ বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন করা না গেলেও পুলিশের সন্দেহের তীর এখন নিহতের স্বজনদের দিকে।
গতকাল (শুক্রবার) রাত পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ মামলা করেনি। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব ঘটনাটি তদন্ত করছেন। রাতে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে খুনের স্পষ্ট আলামত মিলেছে। এটি একটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে কারা কেন তাকে খুন করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার শুরু থেকে পরিবারের সদস্যদের আচরণ ও কথা বার্তা সন্দেহজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এসআই আবু তালেব জানান, পরিবারের সদস্যরা কাউকে সন্দেহ করছে না। আবার তারা ঘটনার যে বর্ণনা দিচ্ছে তাতে যথেষ্ট ফাঁক রয়েছে।
গতকালই লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে, তবে এখনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় বাথরুমে পানির ড্রাম থেকে পা বাঁধা অবস্থায় ইকবাল হোসেন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে। তিনি নগরীর পাহাড়তলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
নগরীর আরাকান সোসাইটি আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কের জামান ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে ইকবাল হোসেন থাকতেন। তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রাউজান কলেজের শিক্ষক। মেয়ে আফিয়া ইকবাল নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আফিয়া জানান, সকাল ৮টায় তিনি খালার বাসায় যাবার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। আগেই কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান তার মা। বাবা তখন কলেজে যাবার জন্য প্যান্ট-শার্ট পরে তৈরি হচ্ছিলেন। বিকেল তিনটার দিকে আফিয়া খালার বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বেশ কয়েকবার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করেনি তার বাবা। এসময় আফিয়া বিষয়টি ফোনে তার মাকে জানায়। তার মায়ের পরামর্শে আফিয়া প্রতিবেশি ও ভবনের নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে এনে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি দেখতে পান, বাথরুমের দরজা খোলা। আফিয়া আরও দেখেন, তার বাবা লুঙ্গি পরা অবস্থায় বাথরুমের ভেতরে আনুমানিক আড়াই হাত লম্বা একটি পানিভর্তি ড্রামের ভেতরে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। তার দুই পা মোটা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ড্রামের পাশে একটি চেয়ারের সঙ্গে লেগে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইকবালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রামে কলেজ শিক্ষক খুন স্বজনদের দিকে সন্দেহের তীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ