মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকৃত মুদ্রার ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল সংস্করণ, যা অনলাইনে লেনদেনগুলো সুরক্ষিত করার জন্য শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা সুরক্ষিত থাকার কারণে জাল বা একই পণ্যের জন্য একাধিকবার অর্থ কেটে নেয়া প্রায় অসম্ভব করে তোলে। ডিজিটাল মুদ্রা পণ্য ও পরিষেবাদি কিনতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এই অনিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল অর্থ বেশিরভাগই উচ্চহারে লাভের উদ্দেশ্যে অনলাইন বাণিজ্যে ব্যবহার করা হয়। কখনো কখনো এর বিনিয়োগকারীরা এর চড়া মূল্য হাঁকেন। সর্বাধিক পরিচিত ডিজিটাল মুদ্রাগুলোর মধ্যে একটি বিটকয়েন (বিটিসি)। এটিকে মূল ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ডিজিটাল অর্থের বাজার ‘কয়েনবেস’ আজ থেকে ট্রেডিং শুরু করবে, তখন এটি ওয়াল স্ট্রিটের মতো বিরক্তিকর, প্রচলিত স্টক এক্সচেঞ্জের হয়ে উঠবে। তবুও কয়েনবেসে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রচলিত শেয়ারবাজারের বিপরীত হিসেবে, সেখানে নিয়মিত ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) কোনও নতুন শেয়ার বিক্রি করা হবে না এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের তাদের স্টকটির মূল্য বাড়ার আগে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না, অর্থাৎ তারা এর আগাম উত্তেজনা উপভোগ করতে পারবেন এবং শেয়ারের উচ্চ মূল্যে লাভবান হতে পারবেন।
এবং গত ৬ এপ্রিল প্রকাশিত কয়েনবেসের প্রথম ত্রৈমাসিক ফলাফল নিশ্চিতভাবে উত্তেজনাকর। এটি ২০২০ সালের শেষ ৩ মাসে যথাক্রমে প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে যথাক্রমে ১শ’ ৭৯ মিলিয়ন, ৫শ’ ৮৫ মিলিয়ন এবং ৭শ’ ৭০ মিলিয়ন থেকে ৮শ’ মিলিয়ন ডলার লাভ করে। কয়েনবেসের আনুমানিক প্রাথমিক মূল্য ১শ’ বিলিয়নেরও বেশি, যা সম্ভবত ২০১২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার সময় ১০৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ফেসবুকের চেয়েও বেশি।
ডিজিটাল অর্থের ব্যবসা হিসাবে চিত্তাকর্ষক হলেও, এটির মূল্য কি ন্যায়সঙ্গত? নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক নগদভুক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কয়েনবেসকে পরিপক্ক দেখাচ্ছে। গত প্রান্তিকে এর ব্যবহারকারীরা প্রায় ৩শ’ ৩৫ বিলিয়ন ডলারের মুদ্রা ব্যবসা করে। তারা এর অ্যাকাউন্টগুলোতে সব ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর এক দশমাংশেরও বেশি মূল্যমানে ২শ’ ২৩ বিলিয়ন ডলার ধরে রাখে।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত কয়েনবেস সর্বদা ডিজিটাল অর্থ কেনা-বেচার প্ল্যাটফর্মের থেকেও বেশি কিছু হয়ে উঠতে চেয়েছিল যেখানে নৈরাজ্যতন্ত্রী ডিজিটাল জগত এবং প্রচলিত অর্থনীতির মধ্যে একটি সেতু বন্ধনের লক্ষ্য ছিল। যদিও এর অবস্থা বিভিন্ন সময়ে অস্থতিশীল ছিল, তবে ফার্মটি বর্তমএন তার লক্ষ্য থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
এর পরিষেবাগুলো থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের ক্রিপ্টোগ্রাফিতে কোনও ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। এটি নীতিনির্ধারক এবং ব্যাংকগুলোর সাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুসম্পর্কে রয়েছে এবং এটি এখন বিপর্যয়কর হ্যাকের শিকার হওয়া প্রতিরোধ করছে।
যদিও কয়েনবেস কিছুটা বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং এখন ক্রিপটোএসেট্স ডিজিটাল সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণের পরিষেবাগুলো সরবরাহ করে, তবুও এর লেনদেন ফি এখনও গত বছরের তুলনায় এর আয়ের ৯৬ শতাংশ বেশি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এ ধরনের ফার্মের সম্ভাবনাগুলো অনিশ্চিত।
তবে, ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরো বেশি গ্রাহক মানে, আরো বেশি তরল অর্থ, যা কয়েনবেসকে আরো ক্রিপ্টোএসেট্স গ্রহণ করতে এবং আরো পরিষেবা দিতে সুযোগ দেয়, আরো বেশি গ্রাহককে আকৃষ্ট করে এবং এমন আরো অনেকে সুবিধা এনে দেয়। প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থাকে বদলে দেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি। কয়েনবেসের মতো ক্রিপ্টো, বাইন্যান্স এবং ক্র্যাকেন, বা প্রচলিত আর্থিক ফার্মগুলো যদি পুরোমাত্রায় সফল হয়ে ওঠে, তবে প্রচলিত অর্থলগ্নির দরকার পড়বে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।