বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুলনার রূপসা উপজেলায় চালিয়ে গেছে চাষাবাদের কার্যক্রম। রূপসা উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার আউশ ও আমন ক্ষেতে বোরোর ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শীষ। বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষেতজুড়ে উঁকি দিচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। ফসল ঘরে তোলার আশায় প্রতিটি কৃষক পরিবারের চোখে-মুখে সোনালী স্বপ্নের ছাপ। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা বেজায় খুশি। কদিন পরেই সোনালী ধান কাটা শুরু করবে। কৃষাণ কৃষাণীরা মনের আনন্দে ফসল ঘরে তুলবেন। রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, অন্য বছরের তুলনায় রূপসা অঞ্চলে বোরো আবাদ অনেক ভালো হয়েছে, ফলনও ভালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। গতবছর উৎপাদন ছিল ৫৫১০ হেক্টর, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬০০০ হেক্টর উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার ১৫ টি বøকে ধান চাষ ভালো হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার কাছে জানা যায়, বোরো আবাদ ভালো হয়েছে। রূপসা ৩ নং নৈহাটি ইউনিয়নে ৩৬১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধূসর বিলের ফাঁকে ফাঁকে সবুজের বিপ্লব ঘটেছে। ধান গাছের বুক চিরে বেরিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রত্যেক গ্রামের কৃষকরা ক্ষেতের ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছেন। বাতাসে সোনালী ধানের শীষ দুলছে। অনেক কৃষক আবার বেশি ধান পাওয়ার আশায় জমিতে রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করছেন। কেউ আবার ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে কখন নতুন ধান ঘরে তুলবেন এ স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা।
নৈহাটি ইউনিয়ন সামন্তসেনা গ্রামের কৃষক আমিনুল বলেন, আমন ধানের দাম ভালো পেয়েছি আর সে কারণেই বোরো ধান চাষ করছি। আশা করি বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে। কিন্তু কৃষি অফিস থেকে কৃষকের সরকারি বরাদ্দকৃত বীজ, সার সময়মতো কৃষকরা পান না। টিএসবি ইউনিয়ন পাথরঘাটা গ্রাম থেকে নিজাম শেখ জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। সরকারি বরাদ্দকৃত বীজ, সার, ঔষধ কোন কিছুই আমি পাইনি। এমনকি একটিবারের জন্যও কৃষি অফিস থেকে কোন খোঁজ-খবর নেয়নি। তিনি আরো বলেন, আশানুরূপ ফসল উৎপাদন হয়েছে, এখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ঝড়, শিলাবৃষ্টি অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ায় ফসলের দাম আশানুরূপ পাবে বলে কৃষকরা ধারণা করছেন। সেই সাথে এবছর ফসল ফলনের লক্ষ্যমাত্রা যা ধরা হয়েছে আশা করি তা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি অফিস থেকে জানা, শেখ হাসিনা সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এ কারণে সময় মত আমন ধান চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ কৃষি উপকরণ প্রদান করে একটি শক্তিশালী কৃষি জনগোষ্ঠী গড়ে তুলছেন। যে কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। কৃষি খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কৃষকদের ধান ঘরে তোলার জন্য সাধ্যমত পরামর্শ ও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।