পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। চট্টগ্রাম ব্যুরো ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতার তথ্যে প্রতিবেদন :
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পরিবারের সদস্যরা ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা জানিয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় হাটহাজারীতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন বলে দাবি করেন হেফাজত নেতারা। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত তার কোন সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করার কথা জানানো হয়।
এদিকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় হেফাজতের আরও তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের হিলছিয়া গ্রামের আবু তালেব (৫৫), হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামের ফোরকান উদ্দিন সোহেল (৩০) ও সাতকানিয়া উপজেলার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ (৩০)।
পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গত ২৬ মার্চ বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে চার জন নিহতের প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলাম। ওই মিছিল থেকে থানায় হামলার অভিযোগ এনে পুলিশ মামলা দায়ের করে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেনসহ হেফাজতের চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে তাদেরকে রাজধানী ঢাকার জুরাইন থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি।
গতকাল এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী। গ্রেফতার হওয়া বাকিরা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সহ-সভাপতি হাফেজ মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাজাহান শিবলী।
হেফাজতের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় এ পর্যন্ত ৭টি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর শাশুড়ি জহুরা বেগম বাদী হয়ে তার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক আসামিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।