Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপর্যয়ের কবলে মার্কিন কূটনীতি

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের গালি পর্যন্ত হজম করতে হয়েছে ওবামাকে, তার আগে অপমানিত হলেন চীনে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক ইতিহাসে এইসব খুবই বিরল ঘটনা

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কোনো দেশ সফরে গেলে তাদেরকে সাধারণত রাজকীয় কায়দায় অর্ভ্যথনা জানানো হয়। তারা যেকোনো দেশ সফরে গেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই হূলস্থূল অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবারের এশিয়া সফরে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। তার এবারের এশিয়া সফরে এমন কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে যা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে বিরল। জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে ওবামা গত সপ্তাহে চীনে গেলে তাকে লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়নি। এটি সাধারণত অকূটনৈতিক আচরণ বলে বিবেচনা করা হয়। ওই সম্মেলনে আগত অন্য দেশের নেতাদের প্রথা অনুযায়ী লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে বিমানবন্দরে প্রকাশ্যেই চীনা ও মার্কিন কর্মকর্তারা বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে, আপত্তিকর, অশ্লীল ও অবমাননাকর মন্তব্য করায় ফিলিপাইনের বহু বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেন ওবামা। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, বারাক ওবামাকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে সান অব এ বিচ বলে গালি দিয়েছেন। যার বাংলা অর্থ ভীষণ অশ্লীল শোনায়। ওই গালি দেয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট ওবামা পূর্ব নির্ধারিত ওই বৈঠক বাতিল করেছেন। এ দুটি অভিজ্ঞতা ওবামার এবারের এশিয়া সফরের কূটনৈতিক অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। অবশ্য চলতি বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিকভাবে আরো কয়েকটি দেশে অসৌজন্যতা পেয়েছেন। মার্কিন মিত্র বলে কূটনৈতিক মহলে পরিচিত প্রভাবশালী ৩টি দেশ সফরে গিয়ে ওবামা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অসৌজন্য মূলক আচরণ পেয়েছেন। দেশ ৩ টি হলো- সউদি আরব, ইসরাইল ও তুরস্ক। ৯/১১ হামলার জন্য সউদিকে আর্থিক জরিমানা করা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের ওপর থেকে মার্কিন অবরোধ প্রত্যাহার করা এবং ইরানের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরামর্শ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দারুণ চটেছিল সউদি আরব। এমতাবস্থায় চলতি বছরের এপ্রিলে ওবামা রিয়াদ সফরকালে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন রিয়াদ শহরের ডেপুটি গভর্ণর। অন্যান্য সময় ওবামাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে স্বয়ং সউদি বাদশা ফুল হাতে অপেক্ষা করতেন। তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুথানের পর থেকে ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ক মেরামতের লক্ষ্যে গত মাসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আঙ্কারা সফরে যান। অন্য সময় তাকে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও এবার তাকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন আঙ্কারার ডেপুটি মেয়র। সিএনএন।



 

Show all comments
  • Shariful Islam ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯:৪৪ এএম says : 0
    ভারতের কাছে স্বার্থের কারনে মাথানত করলে এই অবস্থা তো হবেই
    Total Reply(0) Reply
  • Ismail Hossain ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯:৪৫ এএম says : 0
    Etai americar paona chilo
    Total Reply(0) Reply
  • Harun Rashid ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯:৪৫ এএম says : 0
    বাহ বাহ বাহ ।
    Total Reply(0) Reply
  • bari ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:১৭ এএম says : 0
    মি: ওবামা, আমেরিকার কোন স্বার্থে আপনি ভারতের সংগে এ সামরিক চুক্তি করতে গেলেন। সেটা সবাই বুঝতে পারছে যে,প্রয়োজনে চীনের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থার প্রস্তুতি। তাই চীনের মাটিতে আপনার এই ইতিহাসে অংকিত অপমান।
    Total Reply(0) Reply
  • তোয়াহা ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৮ এএম says : 0
    এখনও সময় আছে। ভারত-আমেরিকার সখ্য ছিন্ন করা গেলেই ভবিষ্যতের আরও অঘঠন এরানো সম্ভব। চীনারা যে কতবড় গোয়ার ও বদরাগি সে অভিগ্যতা আপনাদের অবশ্যই আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • ছাদেক ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:১৩ পিএম says : 0
    আটটি বছর ওবামা সন্মানের সংগেই শেষ করেছিলেন।কর্টার ক্লিনটনের মতই ছিলেন। কিন্তু বিদায়ের মূহুর্ত একজন ভদ্রব্যক্তির জন্য আমার অত্যন্ত খারাপ লাগছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপর্যয়ের কবলে মার্কিন কূটনীতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ