Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সুয়েজের ওপর নির্ভরতা কমাতে উত্তর মহাসাগরের পথে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২১ এএম

কদিন আগেই সুয়েজ খালে আটকে যায় আড়াই লাখ টনের বিশাল মালবাহী জাহাজ এভার গিভেন। প্রায় সপ্তাহখানেক বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্যিক জলপথ আটকে থাকায় সৃষ্টি হয় জাহাজজট, ক্ষতি হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। যেখানে মিশর বছরে এই সুয়েজ খাল থেকে আয় করে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ডলার। সেখানে কেবল এক এভার গিভেনের কারণেই বিশ্ব বাণিজ্যে ১০০০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।

এর ফলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দামও বেড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পরাশক্তিরা। তাদের মাথায় এখন সুয়েজের বিকল্প জলপথ।

সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ এবং তা সম্ভব না হলে বিকল্প একটি জলপথ তৈরির পরিকল্পনা ইসরায়েল বহুদিন ধরেই করছে। আর তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমেরিকা এবং পশ্চিমা অনেক দেশের। আর বিকল্প কোনো খাল তৈরিতে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েরের পাশে থাকছে সংযুক্ত আরব-আমিরাত।

মিশরের সুয়েজ খালের বদলে একটি বিকল্প রুট ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির চবাহার বন্দরভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ করিডোর বা আইএনএসটিসি রুটটি ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে তেহরান জানায়, এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য সুয়েজ খালের তুলনায় এই রুটটির ব্যবহারে ঝুঁকি অনেক কম এবং অনেক বেশি লাভজনক।

আবার চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ব্যবস্থায় একীভূত হওয়া ইস্তাম্বুল-লন্ডন-বেইজিং রেলপথ নিয়েও সরব হয়ে ওঠে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি সুয়েজের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়েছে পানামা খাল খনন করে।

রাশিয়াও সুয়েজ খালের বিকল্প হিসেবে আর্কটিক সাগরের মধ্য দিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য পথ তৈরির পরিকল্পনা করছে। রাশিয়ার জন্য, উত্তর মহাসাগরীয় পথ শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবেই নয়, সামরিক ও কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তর মহাসাগর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ