পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি পাবেন। গতকাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দূতাবাস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের প্রয়াসে বাংলাদেশ এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার ঢাকায় আসেন। ঢাকা সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আগামী ২২-২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তার এই সফর, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি পাবেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ও ভালনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টার্সের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও সহনশীলতা অর্জনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের যে অঙ্গীকার, তার গুরুত্বই তুলে ধরছে এই সফর। প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত কেরির আলোচনায় জলবায়ু নীতি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করা হয়।
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি গোলটেবিলেও অংশ নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ দূত। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার সরকারি বাসভবনে এই আলোচনার আয়োজন করেন। জলবায়ু সংকট রোধে প্রশমন ও অভিযোজনকে সহায়তা দিতে এবং সমৃদ্ধিকে সমর্থন জোগাতে যে বিনিয়োগ দরকার, তা সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার আন্তর্জাতিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র কতটা গুরুত্ব দেয়, সেক্রেটারির এই সফর সেটি তুলে ধরেছে। নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ২৬তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ-২৬) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে এই সফরের অংশ হিসেবে আবুধাবি ও নয়াদিল্লিতেও যাত্রাবিরতি করবেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত কেরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।