মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাফালে বিতর্কে যেন কিছুতেই ইতি পড়ছে না। সুপ্রিম কোর্টের ক্লিনচিটের পর যে বিতর্ক ২০১৯ সালেই ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল, তা যেন পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে মিডিয়াপার্ট নামে ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যমের একের পর এক বিস্ফোরক দাবিতে। এর আগে ওই সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছিল, রাফালে চুক্তিতে ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে দশ লাখ ইউরো ‘উপহার’ দিয়েছিল ফরাসি সংস্থা দাসল্ট। এবার আরও বিস্ফোরক দাবি করেছে ওই সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, রাফালে চুক্তির আগে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের গোপন নথি ফ্রান্সের সংস্থাটির কাছে ফাঁস করেছিলেন চুক্তির মিডলম্যান সুষেন গুপ্তা।
মিডিয়াপার্ট নামের ওই ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ফ্রান্সের সংস্থা দাসাল্ট এবং তাদের সঙ্গী সংস্থা থেল বিদেশের একাধিক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো অকেজো সংস্থার মাধ্যমে মোট ১৪৬ লাখ ডলার ভারতীয় মধ্যস্থতাকারী সুষেন গুপ্তাকে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের একাধিক অকেজো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা সুষেন এবং তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাসাল্ট এবং থেল। এর পরিবর্তে সুষেন গুপ্তা ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের গোপন তথ্য তুলে দিয়েছে দাসাল্টের হাতে। সুষেনের দেওয়া তথ্য হাতে পাওয়ায় ভারত সরকারের সঙ্গে রাফালের দর কষাকষিতে সুবিধা পেয়েছে ফ্রান্সের সংস্থাটি। আসলে, রাফালের দর কষাকষির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা কী অবস্থান নেবেন, এবং কতটা নমনীয় হবে, সুষেন গুপ্তা সেই তথ্য আগেই দিয়ে দেয় ফ্রান্সের সংস্থাটিতে। ফলে তারা, সেইমতো এই ফাইটার জেটগুলির দাম নিজেদের পক্ষে বাড়িয়ে নেয় বলে অভিযোগ ফ্রান্সের এই সংবাদমাধ্যমটির। মিডিয়া পার্টের দাবি, তাঁদের হাতে এই গোটা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আছে। দাসাল্ট কীভাবে সুষেন গুপ্তাকে টাকা দিল, সেইসব নথিও আছে তাঁদের হাতে। মিডিয়াপার্টের এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই চুক্তিতে বড়সড় দুর্নীতির যে অভিযোগ করছিলেন, তা আংশিকভাবে হলেও সত্যি প্রমাণিত হবে। যদিও, দাসাল্টের তরফে রাহুলের এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করা হয়েছে। ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত সরকারের সঙ্গে তাঁদের চুক্তিতে নিয়মভঙ্গের যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। দাসাল্ট ফ্রান্স সরকারের যাবতীয় নিয়ম মেনেই ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি করেছে। তাছাড়া, এই চুক্তির আলোচনা হয়েছে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে, তাই এই ধরনের নিয়মভঙ্গের প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র : দ্য ওয়্যার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।