পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা উল্লেখ করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী। গতকাল হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার হরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
বাবুনগরী বলেন, বিগত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসল্লিদের ওপর পুলিশের সহযোগী হেলমেট পরিহিত ও চাপাতি-রামদা হাতে একদল সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে আক্রমণ চালায়। পাশাপাশি পুলিশও মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মুসল্লিরা আত্মরক্ষার্থে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সে দিনের সংঘাতের ভিডিওগুলোতে স্পষ্ট কারা সহিংসতা উসকে দিয়েছিল। সারা দেশের মানুষ ঐ ভিডিওগুলো দেখেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সেদিনের ঘটনা কাভারেজ পেয়েছিল। সেদিন হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। সুতরাং, নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেফাজতের ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আলেম-ওলামার সাথে বাড়বাড়ির কারণে সরকার নিঃসন্দেহে জনগণের কাছে আরো ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে। কিন্তু হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনো সহিংসতা রোধ করা সম্ভব নয়। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানানো জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার হরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। কোনো বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির প্ররোচনায় কোনো ধরনের আত্মঘাতী ও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।