বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পরায় দেশের দ্বিতীয় বহত্বম বরিশাল নদী বন্দর সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরে এখন শুনশান নিরবতা। পাঁচদিন আগের কোলাহল মুখর বরিশাল নদী বন্দরে গত সোমবার থেকে কোন নৌযানের হুইসাল শোনা যাচ্ছেনা। নেই যাত্রী ও শ্রমিকদের কোন হাকডাক। করোনা মহামারির লকডাইনে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি নদী বন্দর ও শতাধীক লঞ্চঘাটের পরিচালন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ। অথচ সাধারন সময়ে এসব নদী বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে দু শতাধীক নৌযানে অন্তত ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহন হত।
গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেষ ট্রিপে লক্ষাধীক যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলে পৌছে দিয়ে দেড়শতাধীক নৌযান বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী নদী বন্দর সহ বিভিন্ন স্টেশনে নোঙরে রয়েছে। এছাড়াও এসব নৌ বন্দরের আওতাধীন স্থানীয় রুটের আরো শতাধীক ৬৫ ফুট থেে দেড়শ ু দৈর্ঘের নৌযানও বিভিন্ন বন্দর ও স্টেশনগুলোতে অলস বসে আছে। এসব নৌযানের অন্তত ৫ হাজার কর্মচরী এখন অখন্ড অবসরে থাকলেও মাসের শেষে বেতন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। তবে ভাল কিছু নৌযান কোম্পানী গত বছর লকডাউনের সময়ও তাদের কর্মীদের বেতন প্রদান করলেও বছরের মাথায় দ্বিতীয় বিপর্যয় মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম তা বলতে পারছেন না।
কারণ গতবছর রমজান ও ঈদ উল ফিতর সহ প্রায় আড়াই মাস নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নৌ পরিবহন খাতে স্মরনকালের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার অগেই আরেকটি লকডাউন পরিস্থিতিকে আরো বড় ধরনের বির্পযয়ে ঠেলে দিল।
এ ব্যাপারে দেশের অন্যতম বৃহত নৌ পরিবহন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন নেভিশেনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, নৌপথে যাত্রী পরিবহন খাতে নতুন যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা সামাল দেয়া বেশীরভাগ নৌযান ব্যবসায়ীর পক্ষেই সম্ভব হবে না। সরকার এখাতে কেন প্রনোদনাও দেয়নি গতবছর । অথচ নৌযান কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে গতবছর। এবারো দিতে হবে। এরসাথে সরকারের বিভিন্ন ধরনের কর ও ভ্যাট ছাড়াও ব্যাংকের সুদ সহ কিস্তি পরিষোধ করতে হচ্ছে। কিন্তু আয় নেই। ফলে টাকা কোথা থেকে আসবে সে উত্তর খুজছেন নৌযান মালিকরা।
একই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন সালমা শিপিং লাইন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস’ও। পাশাপাশি বেশীরভাগ নৌযান শ্রমিক-কর্মচারীও বেতনÑভাতা নিয়ে তাদের উদ্বেগ আর অনিশ্চতার কথাও জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।