বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন প্রত্যাহার চায় কক্সবাজারের ব্যবসায়ী সমাজ। আজ সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে দেয়া এক স্মারক লিপিতে এমন দাবী তোলেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছে, গত লকডাউনে ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এখনো তারা ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। অধিকাংশ ব্যবসায়ী বিগত সময়ের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে ওঠতে পরে নি।
সারা বছর করোনার প্রভাবে তেমন ব্যবসা-বাণিজ্য হয় নি। সামনে রোজার ঈদ মৌসুম। এরই মাঝে সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছে, তাতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সব কিছু খোলা রেখে লকডাউন করে শুধু দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়ায় তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বইমেলা চললে, অফিস-আদালত, কল-কারখানা চললে শুধু তাদের প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে এমন প্রশ্ন লকডাউন করে বন্ধ না করে বরং দিনে সময় নির্ধারণ করে তাদের দোকানপাট খোলার সুযোগ দেওয়ার দাবী তোলেন তারা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় বলে জানিয়েছে।
লকডাউনের বিকল্প কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যায় কিনা- তা নিয়ে ভাবার জন্য প্রশাসনের নিকট ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করেছে।
এদিকে, লকডাউন প্রত্যাহার দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদকে স্মারকলিপি দিয়েছে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (৮এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ফেডারেশনের যুগ্মআহবায়ক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাওলানা ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবদুল গফুর দাবী দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে জমা দেন।
বিষয়টি নিয়ে কি করা যায়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
এ সময় স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে সারাদেশে। একইভাবে পর্যটন শহর কক্সবাজারে চলছে কড়াকড়ি লকডাউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।