নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১ রানের হতাশা- এমন শিরোনাম মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়। বিশেষ করে কোনো ব্যাটসম্যান ৯৯, ১৯৯, ২৯৯...এমন রানে আউট হয়ে গেলে শিরোনামটা এ রকমই হয়! সত্যিই এমন স্কোরে আউট হওয়াটা খুবই হতাশার আর কষ্টের। তবে সেই কষ্ট বা হতাশা চাপা দিয়েই এগিয়ে যেতে হয় একজন ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু ভারতের এক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় পালিয়া আর ১০ জন ব্যাটসম্যানের মতো নন। ১ রানের কষ্টটা তিনি কোনোভাবেই হজম করতে পারেননি।
নিরানব্বই-টিরানব্বই নয়, সঞ্জয় পালিয়া গোয়ালিয়রে একটি ক্রিকেট ম্যাচে আউট হয়েছেন ৪৯ রানে। যার মানে ১ রানের জন্য ফিফটি পাননি। এই ১ রান করতে না পারা পালিয়াকে এতটাই হতাশ করেছে যে তার ক্যাচ নেওয়া ফিল্ডারের দিকে ছুটে যান পালিয়া। শচীন পরাশর নামের ওই ফিল্ডারকে নিজের ব্যাট দিয়ে পেটাতে শুরু করেন তিনি। শুরুতে বিষয়টি বুঝতে অন্যদের একটু সময় লেগেছে। কিন্তু যখন মাঠে থাকা অন্য খেলোয়াড়েরা বিষয়টি বুঝতে পারেন, সবাই ছুটে গিয়ে সঞ্জয় পালিয়াকে থামানোর চেষ্টা করেন।
পালিয়াকে থামানোর আগেই অবশ্য তার ব্যাটের আঘাতে ২৩ বছর বয়সী পরাশর মাঠে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে পরাশরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এখনো পরাশরের জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছে গোয়ালিয়র শহরের পুলিশ সুপার রামনরেশ পাচৌরি। ম্যাচটি হচ্ছিল মেলা মাঠে। সেখানকার গোলা কা মন্দির পুলিশ স্টেশনের সুপার পাচৌরি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘পরাশর ক্যাচ নেওয়ার পর পালিয়া বেশ রেগে গিয়ে পরাশরের দিকে ছুটে যান এবং তার মাথায় ব্যাট দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। অন্য খেলোয়াড়েরা পালিয়াকে থামানোর চেষ্টা করেছেন। পরাশর এখনো হাসপাতালে আছেন, তার জ্ঞান ফেরেনি।’
জ্ঞান ফিরে পরাশর সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা। পরাশর সুস্থ হয়ে ফিরুন আর না-ই ফিরুন, এরই মধ্যে সঞ্জয় পালিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটা করা হয়েছে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে। পালিয়ার হয়তো শিগগির মাঠে ফেরা হচ্ছে না!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।