মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার বিরুদ্ধে লড়তে এবার পশুদের জন্যে ‘কার্নিভাক-কোভ’ নামে একটি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করল রাশিয়া। একাধিক পরীক্ষার পর রাশিয়ার কৃষি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুধবার জানিয়েছে যে, কুকুর, বিড়াল, শিয়াল এবং মিংকের শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
এপ্রিল মাস থেকে ‘কার্নিভাক-কোভ’ নামে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোজেলখোজনাডজোর। রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি দুর্বল প্রজাতিগুলিকে রক্ষা করতে এবং ভাইরাল মিউটেশনকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হবে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া এখনো পর্যন্ত দুটি বিড়ালের শরীরে করোনা ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছে। ডেনমার্ক গত বছর তাদের খামারগুলি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ মিঙ্ককে হত্যা করেছে যখন তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে এই ভাইরাসগুলির একটি স্ট্রেন মানুষের থেকে তাদের শরীরেও পৌঁছাতে পারে।
রোজেলখোজনাডজোর থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ান পশুর খামারগুলি গ্রিস, পোল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়াতে ব্যবসায়ের জন্যে এই ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করেছে। সোভিয়েত যুগ থেকে বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার পশু খামারগুলি ব্যবসায়িক দিক থেকে ভালো স্থান দখল করেছিল। কিন্তু করোনার জেরে এবার সেই ব্যবসায় মন্দা দেখতে হয়েছে।
রাশিয়ার স্পুটনিক ভি মানব ভ্যাকসিন তৈরি করা ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ সোমবার ইজভেসিয়া পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাণীতে আঘাত হানতে পারে। মহামারীর পরবর্তী পর্যায় হ’ল খামার এবং গবাদি পশুদের ভাইরাস সংক্রমণ। তবে কিছু বিজ্ঞানী বলেছেন যে, বিড়াল এবং কুকুর মানুষের শরীরে করোনভাইরাস সংক্রমণে প্রধান ভূমিকা পালন করে না এবং তাদের কোভিড -১৯-এর লক্ষণগুলি খুবই হালকা হয়।
রাশিয়ান প্রাণী ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল গত বছরের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল এবং এতে কুকুর, বিড়াল, আর্কটিক শিয়াল, মিনক, শিয়াল এবং অন্যান্য প্রাণীগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। রোজেলখোজনাডজোরের প্রধান কনস্ট্যান্টিন সাভেনকভ বিবৃতিতে বলেছেন, পরীক্ষা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছি যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং ভ্যাকসিনটি দেওয়ার পর প্রাণীদের শরীরে করোনভাইরাসের অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে যে অক্টোবরে ট্রায়াল শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাণীগুলিকে কমপক্ষে ছয় মাস ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে কিনা তা দেখা হয়েছে।তারপর আমরা সিদ্ধান্তে আসি যে ভ্যাকসিনটি প্রাণীর শরীরে ভাকসিনটি কার্যকর। সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।