মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার পরে পাকিস্তানে বিরোধী ১১ দলীয় জোটে (পিডিএম) ভাঙন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টিকে (এএনপি)। তবে কি কারণে এ শোকজ তা বলা হয়নি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পিডিএমের ২ এপ্রিলের বৈঠকে যোগ দেয়নি পিপিপি এবং এএনপি। এছাড়া এ দুটি দল পিডিএমের সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন করেছে। তারা ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে বলে অভিযোগ আনা হয় এবং পিডিএমের বৈঠকে ওই দুটি দলকে শোকজ নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। শোকজ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিডিএমের সেক্রেটারি জেনারেল এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) শাহিদ খাকান আব্বাসী।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ডনকে আব্বাসী বলেন, পিডিএম প্রেসিডেন্ট মাওলানা ফজলুর রেহমানের অনুমোতিক্রমে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে এ দুটি দলকে। তা পাঠানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। সোমবার সিনেট অধিবেশনের সময় এর মূল কপি তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। নোটিশে উভয় দলকেই জবাব দিতে সাতদিন সময় দেয়া হয়েছে। আব্বাসী আরো বলেন, তারা যে উত্তর দেবে তা নিয়ে বিরোধী জোটের সংসদীয় দলের মধ্যে একটি বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে পিডিএম। তিনি আরো বলেছেন, নোটিশে এ বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনতে বিরোধী জোটের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে যদি ওই দুটি দল মনে করে তাহলে তারা তা প্রকাশ করতে পারে। এরই মধ্যে বিরোধী দল পিপিপি’র সিনেট নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
গত সপ্তাহে পিডিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা পিপিপি এবং এএনপি’কে বাদ দিয়েই সামনে চলবে। এক্ষেত্রে তারা বিরোধী ৫টি দলকে নিয়ে একটি নতুন জোট গঠন করবে। এই ৫টি দলের সিনেটে আছে ২৭ জন সদস্য। এই দলগুলো হলো পিএমএলএন, জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম (জেইউআইএফ), পখতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি), ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) এবং বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি-মেঙ্গল)। ২রা এপ্রিলের বৈঠকে পিডিএম সভাপতি মাওলানা ফজলুর রেহমানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, পিপিপি এবং এএনপি’কে শোকজ নোটিশ ইস্যু করতে। কারণ, দুটি দলই পিডিএমের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে ‘সিলেক্টেড’ সরকার বলে অভিহিত করেছেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পিপিপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাওদেরো হাউজে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। রোববার তিনি বলেছেন, যদি বিরোধী অন্য দল থেকে তিনি সমর্থন না পান তাহলে তাদেরকে ছাড়া একাই এই ‘সিলেক্টেড’ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত পিপিপি। তার ভাষায়, অন্য দলগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে লড়াই করতেই শুধু পিপিপি প্রস্তত নয়। একই সঙ্গে পিপিপি একাই লড়াই করতে প্রস্তত।
শোকজ নোটিশ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর কথায় পিডিএমে ভাঙন যে অবশ্যসম্ভাবী তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কারণ, বিলাওয়াল একলা চলো নীতির কথা স্পষ্ট করেছেন। অন্যদিকে পিডিএমের ৫টি দল নিয়ে নতুন জোট করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।