গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভিন্ন এক চিত্র বিরাজ করছে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। প্রাতিষ্ঠানিক ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে আকাশ, সড়ক, নৌ পথের সব ধরনের যান চলাচল।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে অন্যদিনের মতো চঞ্চলতা নেই বুড়িগঙ্গার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ ছাড়া ফাঁকা পুরো লঞ্চ ঘাট। দুই একটি লঞ্চ থাকলেও সরকারের নির্দেশনায় সেগুলোও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
টার্মিনালে ঘাটের নিরাপত্তা কর্মী ও হকার ছাড়া কাউকেই দেখা যায়নি। এদিকে রাতে ও সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা যাত্রীরাও পড়েছেন পরিবহন ভোগান্তিতে। কোনো গাড়ি না পেয়ে টার্মিনালের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে তারা অবস্থান করছেন।
রাতের লঞ্চে ভোলা থেকে ঢাকা এসেছেন মো. কবির আলী। তিনি জানান, ‘ঢাকায় কাজে এসেছি। এখন গন্তব্যে যাওয়ার জন্যে গাড়ি পাচ্ছি না। কয়েকটা সিএনজি দেখছি, কিন্তু তারা বেশি ভাড়া চাচ্ছে।’
সার্বিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আজ সকাল ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। ঢাকা নদী বন্দরেও কোনো জাহাজ নেই। রাতে ঢাকায় আসা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে লঞ্চ ঘাট থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মালিকরা তাদের নিজস্ব জায়গায় লঞ্চ রাখবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।