Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসটিআইতে অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পাচ্ছেন চার কর্মকর্তা!

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া চার কমকর্তাকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দিতে যাচ্ছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই। গত ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত পদোন্নতি বোর্ড সভায় বিষয়টি উঠে আসে বলে জানা গেছে।
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীÑমেট্রোলজি বিভাগের পরিদর্শক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর মাষ্টার্স ডিগ্রি অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। কিন্তু তাদের আবেদন করা কাগজপত্র ঘেটে দেখা গেছে, বিএসসি তৃতীয় শ্রেণী। ওই সময় চারজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকা সত্তে¡ও উর্ধ্বতনকে ম্যানেজ করে তারা চাকরিতে বহাল থাকে। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় বিএসটিআই’র ড. সৈয়দ হুমায়ূন কবীরকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। ওই কর্মকর্তার প্রতিবেদনেও অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে।
২০০২ সালের ১৯ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে ড. সৈয়দ হুমায়ূন কবীর উল্লেখ করেনÑ মিয়া মো. আশরাফুল আলম, মো. লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন, আবদুল আউয়াল, মফিজ উদ্দিন আহমেদ, মো. মোন্নাফ হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম এই সাতজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রি অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি না থাকায় পরিদর্শক পদে তাদের নিয়োগ নিয়ম বহির্ভ‚ত ছিল। একই বছরের ১ অক্টোবর অডিট বিভাগের নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। সুপারিশে বলা হয়, সংশোধিত নিয়োগবিধির আলোকে বিষয়টি নিয়মিত করা প্রয়োজন। অন্যথায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতন-ভাতাদিবাবদ সমুদয় টাকা দায়ী ব্যক্তিদের নিকট হতে আদায়যোগ্য বলে উল্লেখ করেন।
সূত্র মতে, বিএসটিআইতে ওই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা বর্তমানে সহকারি পরিচালক পদে চাকরি করছেন। সেসব কর্মকর্তাদের মধ্যে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত চার উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। আর এতে প্রকৃত নিয়োগপ্রাপ্তরা বঞ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থের জোরে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পদোন্নতি পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। গত ২৫ মার্চ পদোন্নতি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নিয়ম বহির্ভ‚তদের পদোন্নতি দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিএসটিআই’র পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, এখনো কারো পদোন্নতি হয়নি। পদোন্নতি দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বোর্ড রয়েছে। সেখানে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন। বোর্ড পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সুতরাং এ বিষয়ে বোর্ডই চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসটিআই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ