পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলাম গদি দখলের রাজনীতি করে না। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সর্বময় আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে গণমানুষের কথা বলে, মজলুম জনতার কথা বলে। যেখানেই ইসলামের ওপর আঘাত আসবে সেখানেই হেফাজতে ইসলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে অপর নারীর ওপর কিভাবে অপবাদ দিয়েছেন। এ ধরনের অপবাদের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। মাহে রমজান সমাগত। আমরা এ ধরণের অপবাদ দেয়ার জন্য সরকার প্রধানকে তওবা করার আহবান জানাচ্ছি।
শনিবার সোনারগাঁও রিসোর্টে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের ওপর পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা, হামলা ও হেনস্তার বিরুদ্ধে আজ রোববার নগরীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি এসব কথা বলেন। মাওলানা ফয়সাল আহমদের পরিচালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা তফাজ্জল হজ আজিজ, মাওলানা হারুন উর রশিদ ও মাওলানা আনোয়ার হোসেন।
প্রতিবাদ সভায় বলা হয়, মাওলানা মামুনুল হক শনিবার সোনারগাঁও রিসোর্টে কোনো অপবিত্র কাজ করতে যাননি। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে সেখানে গিয়েছিলেন। ছাত্র লীগ যুব লীগের উগ্র ছেলেরা তাকে হেনস্তা করে গর্হিত কাজ করেছে। কোনো সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হলে আল্লাহর লানত আসবে। জাতীয় সংসদে একজন নারীর চরিত্র নিয়ে কিভাবে কথা বলা হয় তা’ ভাবতেও অবাক লাগে। হযরত ইউসুফ (আ.) ও হযরত মুসা (আ.)কে নিয়েও চরিত্র হনন করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রখারীরা আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়ে যাবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, হেফাজতে ইসলাম নারীদের টার্গেট করে না। হেফাজতে ইসলাম নারীর অধিকারে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, কেউ কাবিননামা নিয়ে ঘুরতে যায় না। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির আগমনকে নিয়ে ঈমানদার জনতার মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রচন্ড ক্ষোভ ও ঘৃণা থাকার পরেও হেফাজতে ইসলাম কোনো কর্মসূচি দেয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ছিল আওয়ামী লীগের; জনগণের নয়। গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের গুন্ডাবাহিনী হেলম্যাট বাহিনীর তান্ডপ গোটা দেশবাসী দেখেছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি থানায় কারা হামলা করেছে। তা’ ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ মিলবে। মোদি বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ১৬ জনের রক্ত বৃথা যাবে না বলেও মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা মাওলানা মামুনুল হক ছাত্র লীগ যুব লীগের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসময়ে ঐ রিসোর্টের একটি কক্ষে তার স্ত্রীও অবস্থান করছিলেন। শনিবার বিকেলে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যাই। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেয়ার জন্য এখানে (রিসোর্টে) আসি।’ মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ মাওলানা মামুনুল হক বলছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীসহ রিসোর্টে অবকাশযাপনে গেলে কিছু লোক তাঁকে নাজেহাল করে। মাওলানা মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের খবরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপনকেন্দ্রটিতে যান। সেখানে মাওলানা মামুনুল হক সংবাদকর্মীদের বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে তিনি ওই রিসোর্টে যান। সেখানে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে। স্থানীয় আলেম ওলামা ও মাওলানা মামুনুল হকের ভক্তরা এ খবর পেয়ে চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হন এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।