নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রথম ১৬ টেস্টে বলার মতো পারফর্ম করেননি, ফিফটি মাত্র ১টি। অথচ, সেই টপ অর্ডার ইমরুল কায়েস পরবর্তী ৮ টেস্টে করেছেন ৩ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটি! ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন টেস্ট থেকে অন্য এক ইমরুল কায়েসকে দেখছে বিশ্ব। ২০১৪ সালে গ্রোয়েন ইনজুরি নিয়ে চট্টগ্রামে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরিতে আলোচনায় উঠে আসা ইমরুল ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তামীমকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে তৃতীয় ইনিংসে বিশ্বরেকর্ড ৩১২ তে রেখেছেন অবদান। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে এখন সুযোগটা পান কালে-ভদ্রে, কিন্তু টেস্টে তিনি অপরিহার্য। তবে নিজেকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটার বলে মনে করেন না এই বাঁ হাতি টপ অর্ডার। টেস্ট স্টিকার গা থেকে খুলে সব ফরমেটের ক্রিকেটে নিয়মিত হতে চান তিনিÑ ‘আমি বিশ্বাস করি না যে আমি শুধুই একজন টেস্ট ক্রিকেটার। আমার বিশ্বাস টেস্টের পাশাপাশি ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টিতেও সমান পারদর্শী। আমাকে নতুন করে প্রমাণের আর কিছু নেই। আমি জানি কোনটা করতে পারি আর কোনটা করতে পারি না। আগের দিনগুলোতে আমি ওয়ানডেতে ভালো পারফর্ম করেছি। টি টোয়েন্টিতেও তেমনি ছিলাম। বিপিএল-এ আমি ভালো খেলেছি; টেস্টেতো খেলছিই। আমি মনে করি এখন সব ফরম্যাটের জন্যই আমি ফিট।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে উপর্যুপরি ২ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইমরুল কায়েস। অথচ, ওয়ানডে ক্রিকেটে দলে ফিরতে আড়াই বছরের প্রতীক্ষা করতে হয়েছে তাকে। গত বছর বাংলাদেশ যেখানে খেলেছে ১৮টি ওয়ানডে, সেখানে ইমরুল কায়েস খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৫ ম্যাচ। তবে এটাকেই নিয়তি মেনে নিয়েছেন ইমরুল কায়েসÑ ‘অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর এসব নিয়ে ভাবি না। বিশ্বকাপেও আমার থাকার কথা ছিল কিন্তু ছিলাম না। প্রথমে খারাপ লেগেছে পরে অবশ্য ভেবেছি এটাই জীবন। এভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো নিজেকে কতদূর নিয়ে যেতে পারি।’ এটাই ক্যারিয়ারে শেষ না। যে কারণে এখন নিজের মাইন্ড সেট করে নিয়েছি, একটা টুর্নামেন্ট মিস হতেই পারে। আমার কাছে কথা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কতটা ক্যারি করতে পারি সেটাই আমি চেষ্টা করি।’
দলের বাইরে থাকার যন্ত্রণা লাঘবে প্রত্যাবর্তনে কিছু একটা করে দেখানোর জিদ চাপে, তার প্রতিফলনও দিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন ইমরুলÑ ‘বাইরে থাকার আড়াই বছর আমি খুব মিস করেছি দলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আবহ, ড্রেসিংরুম খুব ফিল করতাম। টিভিতে খেলা দেখে খারাপ লাগত। ওই সময়টাতেই নিজের ব্যাটিং দর্শন বদলে ফেললাম। আর সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম যে একটি সুযোগ পেলেই কাজে লাগাতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (২০১৪) ফিরেই সেঞ্চুরি করলাম।’ প্রতিটি ম্যাচকেই ভাবেন এটাই তার শেষ। এটাই তার দর্শন। এই করে করেই নাকি ক্যারিয়ার টেনে নিচ্ছেন ইমরুল কায়েসÑ ‘বাদ পড়ার পর ফিরেছি যখন, তখন প্রতিটি ম্যাচই আমার শেষ ম্যাচ ধরে নিয়ে খেলছি। জানি যে বাদ পড়তে পারি যে কোনো মুহূর্তে। এই ভাবনাই এখন আমার নেই যে দীর্ঘদিন টানা খেলতে পারি। প্রতিটি ম্যাচকেই মনে করি সুযোগ, যেটা কাজে লাগাতে হবে। নইলে আরেকটা সুযোগ নাও আসতে পারে।’
সৌম্য’র অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে তার ইনিংস ২টি ৭৬ ও ৭৩। সেই ইমরুল কায়েসকেই কি না পরবর্তী ওয়ানডেতে সুযোগের জন্য ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হচ্ছে! আসন্ন ২টি ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে ২০ সদস্যের পুলে নিজেকে দেখে অবশ্য আশার সঞ্চার হয়েছে ইমরুল কায়েসের। স্বপ্ন দেখছেন ওয়ানডে খেলার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেলে তা সদ্বব্যহার করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অপরিহার্য তালিকায় নিজেকে রাখতে চান মেহেরপুরের ছেলেটিÑ ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা হবে আমার জন্য একটা সুযোগ। আফগান সিরিজে আমার লক্ষ্য থাকবে ভালো পারফর্ম করা এবং দলের জন্য কিছু করা। ওরা এশিয়ার মধ্যে এখন ভালো দল, বেশ উন্নতি করেছে। তবে আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি তাহলে ওদের বিপক্ষে জিততে সমস্যা হবে না। ইংল্যান্ডের আগে আফগানিস্তানকে পাচ্ছি, এটা আমাদের জন্যই খুবই ভালো হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।