মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। শুক্রবার (২ এপ্রিল) পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি একথা বলেন। টুইটে তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরানি কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের বৈঠকে ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া এ আগামী ১৩ এপ্রিল ভিয়েনায় বৈঠকে বসার ব্যাপারে একমত হয়েছে।
জারিফ তার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে আরও লিখেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াগুলো চূড়ান্ত করা হবে ভিয়েনা বৈঠকের উদ্দেশ্য।
এদিকে আসন্ন ওই বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আমেরিকা ও ইরানের প্রতিনিধিদের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না এবং সেরকম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কোনো প্রয়োজনও নেই। তেহরানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে এই কমিশনের বৈঠকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা দেশটির নেই। আমেরিকাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হবে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যৌথ কমিশনের পরবর্তী বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। কিন্তু পশ্চিমা কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করছে, আমেরিকা ওই বৈঠকে অংশ নেবে।
পত্রিকাটির খবরে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন বৈঠকে দু’টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে। একটি, আমেরিকার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা এবং অন্যটি, ইরানের পক্ষ থেকে পরমাণু সমঝোতার প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণভাবে ফিরে আসার জন্য তেহরান কি কি পদক্ষেপ নেবে তা নির্ধারণ করা।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব পরাশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘একপেশে’, ‘এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই’ অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার ব্যাপারে ইরানও উদাসীন হয়ে পড়ে।
এরপর তেহরানের ওপর আবারও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সমঝোতায় টিকে থাকলেও চুক্তি মেনে চলার ক্ষেত্রে এসব দেশের ঢিলেঢালা মনোভাব ছিল লক্ষ্য করার মতো।
তবে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য, ওষুধ ও কোভিড-১৯ টিকা আমদানিতেও বাধার মুখে পড়ছে দেশটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।