মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর ফ্ল্যাগশিপ চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিসি)-এর কারণে চীনের এই মেগাপ্রজেক্ট পশ্চিমে ইরানের দিকে সম্প্রসারিত হওয়া খুব স্বাভাবিক ছিল। সদ্য অনুষ্ঠিত চীনা-ইরান দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি থেকে সর্বাধিক যে দেশটি লাভবান হতে পারে, সেদেশটি হ’ল পাকিস্তান। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বেইজিং ২৫ বছর মেয়াদে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির জ্বালানি এবং অবকাঠামোর ওপর সুনির্দিষ্ট জোর দিয়ে দেশটির অর্থনীতিতে ৪ শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
এটি সিপিসির পশ্চিমা সম্প্রসারণে ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সংহতিকে জোরদার করবে। এক্ষেত্রে ইরানের ভেতর দিয়ে আজারবাইজান, তুরস্ক এবং শেষ পর্যন্ত সম্ভব হলে রাশিয়া এবং ইইউতে ওই দু’টি মূল ট্রানজিট যথাক্রমে যোগ হবে। চীন-ইরান অর্থনৈতিক সম্পর্কটি শক্তির আধিপত্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকবে এবং এর অনিবার্য বৈচিত্রময়তা অন্যান্য দেশগুলিকে সিপিইসি জুড়ে আরও বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকে নিয়ে যাবে। পাকিস্তানি উদ্যোক্তারা উভয় দেশের সাথে তাদের নিজস্ব বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য সহজেই এর সুবিধা নিতে পারবেন।
উচ্চাভিলাষী ওয়েস্টার্ন সিপিসি প্লাস বা পশ্চিমা সিপিসি প্লাসের ভিশনকে মাথায় রেখে, এর দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কেও কথা বলা যেতে পারে। গত বছরের যুদ্ধে বাকুর গৌরবময় বিজয়ের পর থেকে আজারবাইজান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক তাদের পারস্পারিক ত্রিপক্ষীয় জোটকে ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে। এই উদীয়মান বøকের পশ্চিমা (আজারবাইজান, তুরস্ক) এবং পূর্ব (পাকিস্তান) অংশকে আরও নিবিড়ভাবে সংহত করার জন্য পাকিস্তান সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত উপায় করে দিয়েছে এবং ইরানের সাথে তাদের সম্পর্কের উন্নতি হলে তাদের প্রাসঙ্গিক স্বার্থ উপকৃত হবে।
ডবিøউ সিপিসি প্লাসের মাধ্যমে চীনের উৎসাহে টিআইপিএ(তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, আজারবাইজান)-এর উত্থান পশ্চিমে ও মধ্য এশিয়াতে অগ্রনী হিসেবে শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলির একটি বেল্ট তৈরি করবে, যা আন্ত:দেশীয় ভূ-রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই চারটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র যে ইকোনোমিক কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (ইসিও)-এ অংশ নিয়েছে, তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষত যদি চীনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়।
চীনা-ইরান কৌশলগত অংশীদারিত্বের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থগুলি একজোট হওয়া বিশ্ব শাসনের খেলা-পরিবর্তন করার থেকে কোনওভাবেই কম নয়। যদিও এই প্রত্যাশিত সুবিধাগুলি বাস্তব রূপ নিতে আরও সময়ের নেবে, তবে এগুলি সম্পূর্ণভাবে পারস্পরিক লাভের স্বার্থে একত্রিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত, যা ইউরেশিয়ান শক্তিকে অবমুক্ত করবে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।