Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চ্যাম্পিয়ন বাশার, শিরোপা একাত্বের

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : যে বৃষ্টিকে সাথে করে কক্সবাজারে গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিলো মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল, সেই বৃষ্টি পিছু নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলো মিরপুরের ফাইনালেও। নির্ধারিত ২৫ ওভারের ম্যাচ কেটে ছেঁটে হয়েছে ১৮ ওভারে। আর তাতেই এক্সপো অলস্টার্স মাস্টার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জেমকন খুলনা মাস্টার্স। অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম আসরের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলে নেয় খুলনা। আলী আরমান রাজন যখন কাভার দিয়ে বল সীমানা পার করলেন তখন দৌড়ে মাঠে ঢুকলেন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের প্রথম চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা মাস্টার্সের সকল খেলোয়াড়। আর তাদের সঙ্গে আরো দুইজন। যারা আদতে এ টুর্নামেন্টেই ছিলেন না। কিন্তু না থেকেও মধ্যমণি এ দুইজনই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই জ্বলজ্বলে নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। আর বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক এবং সহঅধিনায়ক এ বিভাগেরই সন্তান। তাই খুশিটা চাপিয়ে রাখতে পারেননি, যোগ দেন অগ্রজদের জয়ের উল্লাসে।
কক্সবাজারে যখন মাস্টার্স ক্রিকেট কানির্ভালের গোড়াপত্তন হয়েছিলো, তখন থেকেই একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আসছিলো আয়োজকরা- ‘একাত্বের বন্ধন’। সেই বন্ধন ফাইনালের মঞ্চে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাছে হেরে যাবে? অবশ্যই না। দুপুর দুইটায় ম্যাচের আগে থেকেই সাবেক তারকাদের হাট বসেছিলো মিরপুরের ২২ গজে। ম্যাচেও পাওয়া গেল সেই পুরনো উত্তাপ। ঠিক যেন একযুগ আগে জাতীয় দলের কোন ম্যাচ। পায়ে প্যাড লাগানো থেকে শুরু করে রান-আপ, ব্যাটিং কিংবা বোলিং, সতীর্থ অথবা মেন্টরদের সঙ্গে পরামর্শের যে চিত্রÑ তাতে প্রতিটি ক্রিকেটারই ভেসে গেছেন স্মৃতির ভেলায়। অনেকে অনেকদিন পর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার হয়ে ফেরার খুশিতে আত্মহারা।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১২৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ করে অলস্টার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সোহেল ২৭, লাবলু ২৩, আজম ইকবাল ২০ ও জাভেদ ওমর ১৭ রান করেন। ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন পান টোটাম। এছাড়া সুমন, মঞ্জুরুল ও মুরাদ খান ১টি করে উইকেট নেন। অলস্টার্সের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তিন জুটিকে সাথে নিয়ে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন বাশার। এছাড়া জামাল বাবু ১৭, সেলিম ১৫ রান করে করেন। ১৬ রানে ২টি উইকেট নেন ফাহিম মুনতাসির। এছাড়া তালহা জুবায়ের, এহসান সেজান ও মাসুদুর রহমান ১টি করে উইকেট পান। দারুণ ব্যাটিংয়ের জন্য খুলনার অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার ওঠে মোহাম্মদ রফিকের হাতে।
শেষটা আরো রঙিন হলো। সাবেক ক্রিকেটাররা শুধু খেলা আয়োজনের মধ্যেই কার্নিভালের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখেনি। আসর শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিশেষ অবদানের জন্য কয়েকজন ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা জানিয়েছে তারা। ম্যাচ শেষে জালাল আহমেদ চৌধুরী (কোচ), ওসমান খান (কোচ), সৈয়দ আলতাফ হোসেন (কোচ), আফজালুর রহমান সিনহা (সংগঠক), মাহবুবুল আনাম (সংগঠক), দিলু খন্দকার (সাংবাদিক), উৎপল শুভ্র (সাংবাদিক), আরিফুর রহমান বাবু (সাংবাদিক), খন্দকার তারেক (ফটো সাংবাদিক), শামসুল হক টেংকু (ফটো সাংবাদিক) এবং মীর ফরিদের (ফটো সাংবাদিক) হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চ্যাম্পিয়ন বাশার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ