Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের হুঁশিয়ারির সঙ্গেই হংকংয়ের নরম সুর

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের হুঁশিয়ারির সঙ্গে সঙ্গেই নরম হয়ে যাচ্ছে হংকংয়ের আইন পরিষদে বিজয়ী তরুণদের সুর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়া ২০১৪ সালে স্বাধীনতাপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাথান ল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাধীনতার পক্ষে তিনি কোনো উসকানি তৈরি করবেন না। এই নাথান ল-ই ২০১৪ সালে সংঘটিত চীনবিরোধী আমব্রেলা আন্দোলনে সামনের কাতারের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। আইন পরিষদের ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে সোমবার দেখা যায়, স্বাধীনতার পক্ষের তারণ্য নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ডেমোসিস্টো পার্টির ল’ আইন পরিষদের আসন নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ২০১৪ সালে স্বাধীনতাপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাথান ল। এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে চীনের হংকং ও ম্যাকাও দফতর বলেছে, হংকংয়ের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ওকালতি করলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর এ জন্য হংকং প্রধান সিওয়াই লিউংকে সব ধরনের সমর্থন দেবে চীন। চীনের এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় নাথান ল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, তিনি জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চান। স্বাধীনতা নয়। ‘আইন পরিষদের আসনকে কোনোভাবেই আমি স্বাধীনতার দাবির উসকানি তৈরিতে ব্যবহার করব না। জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।’ আমব্রেলা নামের আন্দোলনে হংকংয়ের সংবিধান পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল, যেন চীনের বলয় থেকে বের হয়ে আসা যায়। আন্দোলনের সময় বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী হংকং কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। চীন আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ওই আন্দোলনের স্বীকৃতি দেয়নি। হংকংয়ের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ যাবতীয় বিষয়ে চীন ‘মাত্রাতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল আন্দোলনকারীরা। তারা তখন বলেছিলেন, চীনের ওই একগুঁয়েমির কারণে ‘এক দেশ দুই নীতি’ পদ্ধতি হুমকির মধ্যে পড়ছে। তবে বেইজিং বারংবার তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দুই ধরনের শাসনব্যবস্থা অটুট রাখার। তবে তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না আমব্রেলা আন্দোলনের নেতারা। চীনবিরোধিতার প্রশ্ন সামনে এনেই তারা আইন পরিষদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবারের আইন পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে। ভোট পড়েছে ৫৮ শতাংশ। ভোটার অংশগ্রহণের পরিমাণ ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষেও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ডেমোসিস্টো পার্টির ল’ আইন পরিষদের আসন নিশ্চিত করেছেন। ২০১০ সালে পাস হওয়া সংবিধান অনুযায়ী ৭০ আসনের হংকংয়ের আইন পরিষদের ৩৫ আসনে ভোটারদের সরাসরি ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল পদ্ধতিতে ভোট হয়। এতে ৩০ আসনে জয়ী হয় গণতন্ত্রপন্থি নেতারা। যা আগের অবস্থান থেকে বেশি। এর অর্থ এখন চীনা অধ্যুষিত এ বাণিজ্যিক অঞ্চলের আইন ও বাজেট প্রণয়ন বা সাংবিধানিকভাবে বড় ধরনের পরিবর্তনে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে হংকং। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীনের হুঁশিয়ারির সঙ্গেই হংকংয়ের নরম সুর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ