Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের যে সিদ্ধান্তে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উচ্ছ্বাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৭ এএম

ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহারের স¤প্রতি ইসলামাবাদে জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান ভারত থেকে তুলো ও চিনি আমদানি করা শুরু করবে। পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গতি পাবে বলে মনে করেন তারা। এর ফলে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্তব্ধ হয়ে থাকার পর ভারত, পাকিস্তান বাণিজ্যিক সম্পর্কে গতি পাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সবরকমের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য ভারত কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা জিনিসের ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ৪০ জন জওয়ানদের নৃশংস হত্যার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্রমে চিড় ধরতে শুরু করে।তবে কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা রদের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে চরম তিক্ততার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরু হওয়ার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেডারেশন অব কারয়ানা অ্যান্ড ড্রাই ফুড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অনিল মেহরা বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি পাকিস্তানও উপকৃত হবে।পাকিস্তান থেকে ভারতে জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের অনেক সিমেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রচুর সিমেন্ট আমদানি হয়।কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের ব্যবসাতেই এর প্রভাব পড়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাব, পাকিস্তান থেকে ভারতে জিনিসের ওপর আমদানি শুল্ক যেন কমানো হয়।২০০ শতাংশ যে আমদানি শুল্ক চাপানো হয়েছে, তা যেন বাতিল করা হয়। অল ইন্ডিয়া সিমেন্ট ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এমপিএস চাথা জানান, পাকিস্তান থেকে সিমেন্ট, খেজুর, নুন ভারতে আমদানি হত ২০১৯–এর অগস্টের আগে।আগে যেখানে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ছিল ২৫০ টাকা, সেটাই এখন ৪৫০ টাকায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে লবন যেখানে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি হত, সেখানে এখানে লবন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। খেজুরের দামও ১০ গুন বেড়ে গেছে।পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুবাই, আফগানিস্তান থেকে নুন, খেজুর আনতে হত।তবে ফের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুরু হওয়াকে স্বাগত জানাই। হিন্দুস্তান টাইমস।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ