পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া ছিল। গতকাল বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনে আমাদের ডিফেন্স অ্যাটাশে অংশগ্রহণ করেছেন। এটা নিয়মিত অনুষ্ঠান ছিল। সাধারণত যেসব দেশে আমাদের ডিফেন্স অ্যাটাশে থাকেন তারা এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এটা নিয়ে এত হইচই করার করার কী আছে?’
গত শনিবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনে নেইপিদোতে বার্ষিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করে। ওই কুচকাওয়াজে মাত্র আটটি দেশ অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করায় এবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের রাষ্ট্রীয় কুচকাওয়াজে প্রতিনিধি পাঠায়নি অনেক দেশ। তবে রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ড অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। এতে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য দেশের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা এটার সমালোচনা করছেন, হইচই করছেন। অথচ যখন রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হলো, তখন আপনারা কিছুই করেননি। উল্টো আপনারা মিয়ানমারে আপনাদের ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। আপনারা যারা এখন বড় বড় কথা বলছেন বা বেশি সোচ্চার তাদের ব্যবসা তো আগের চেয়ে ১৫ গুণ বেড়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আপনারা চাইছেন সু চিকে আবার সরকারে নিয়ে আসার জন্য। আমরা সু চি সরকারের অবস্থান দেখেছি। একটা সময়ে আমরাও সু চির জন্য রাস্তায় মিছিল করেছি। কিন্তু ওই সু চি যখন ক্ষমতায় আসলেন, তখন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলো, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। আপনারা যারা সমালোচনা করছেন তাদেরও টনক নড়েনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকার মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।