পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভূমি দিবস উপলক্ষে হাজার-হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করেছে। অপরদিকে থামেনি ইসরাইলি ভূমিদখল তৎপরতা। ভূমি দখল করেই যাচ্ছে তারা। দিবসটি উপলক্ষে হাজার-হাজার ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার ভূমি দিবসের ৪৫তম বার্ষিকীর স্মরণে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনিরা ১৯৭৬ সাল থেকে ৩০ মার্চকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এ দিনে ইসরাইলের অভ্যন্তরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি নাগরিকরা ইসরাইলের ভূমি-দখল নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। ওই দিন ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী ছয়জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। ইসরাইলের অভ্যন্তরে বসবাস করা ফিলিস্তিনিরা দেশটির ২০ শতাংশ জনগণ। এ ফিলিস্তিনিরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সামরিক আইনের মধ্যে ছিলেন। তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদের চেতনার কথা বলা জন্য কারফিউ ও গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি ভোগ করেছিলেন। নাকাব মরুভ‚মির অখ্যাত এক গ্রামের একজন মানকাধিক কর্মী সিলিমান আবু জায়েদ। এ মরুভ‚মিটি নিগেভ নামেও পরিচিত যা ইসরাইলের দক্ষিণে অবস্থিত। তিনি সংবাদ মাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি বেদুইনদের ভ‚মি দখল করে যাচ্ছে। সিক্কুই নামের একটি সংস্থা যারা ইসরাইলের ফিলিস্তিনি আরব ও ইহুদি নাগরিকদের মাঝে সমতা নিশ্চিত করতে চায়। তাদের মতে, দু’লাখ ৭০ হাজারের মতো বেদুইন নাকাব মরুভ‚মিতে বাস করে। এদের মধ্যে এক লাখ বেদুইন বাস করে ৩৫টি অচিহ্নিত গ্রামে। এ গ্রামগুলোকে ইসরাইলের সরকার স্বীকৃতি দেয় না। এখানকার বাসিন্দাদের পানি, বিদ্যুৎ, সরকারি পরিবহন, রাস্তা ও স্কুলের মতো মৌলিক সেবাও দেয় না। মঙ্গলবারের ভূমি দিবসে ফিলিস্তিনিরা ১৯৭৬ সালে নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে এ বিক্ষোভের সময় পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহর থেকে ১০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি সৈন্যরা। তাদেরকে রামাল্লাহ, হেবরন, জেনিন, সালফিট, নিলিন, নাবলুস ও সেবাসটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ভূমি দিবসের বিক্ষোভ বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে গাজা উপত্যকায় ভূমি দিবসে একটি লং মার্চ বা দীর্ঘ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এ দীর্ঘ পদযাত্রার মূল লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাদের নিজেদের পরিবারের শহর ও ভূমিতে প্রত্যাবর্তন। মিডল ইস্ট আই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।