Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে রিংবাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২১, ৭:৫২ পিএম

সাতক্ষীরার আশাশুনির দয়ারঘাট-জেলেখালি বিকল্প রিংবাঁধ নতুন করে ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট, দক্ষিণপাড়া আশাশুনি, জেলেখালি, গাছতলা গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরে নদীর লোনাপানি ঢুকে পড়েছে।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার চক্রবর্তী জানান, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট রিংবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। মাত্র কয়েকমাস আগে বাঁধটি দেওয়া হয়। সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশাশুনির দশটি পয়েন্টে ভেঙে যায়। যার মধ্যে এই দয়ারঘাটও ছিলো। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিলো। সেই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিকল্প রিংবাঁধ দেয়া হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এ এলাকার মানুষের দুর্দশা বাড়তে শুরু করেছে।

আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন জানান, খোলপেটুয়া নদীর দয়ারঘাট এলাকার বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলো। দুপুরে প্রবল জোয়ারের তোড়ে তা ভেঙে জেলেখালি, দয়ারঘাট ও উপজেলা সদরের দক্ষিণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে কমপক্ষে শতাধিক বাড়ি ঘর ও মৎস্য ঘরে ক্ষতগ্রিস্ত হয়ছে। তিনি বলেন, মাছ চাষ এই এলাকার মানুষের প্রধান পেশা। আগের রেশ কেটে মানুষ-জন মৎস্য ঘেরে নতুন উদ্যোমে মাছ ছেড়ে দিয়ে এখন তা প্রায় ধরার মত হয়েছে। এরমধ্যে আজ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ায় আবারো মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

অপরদিকে, আশাশুনি জনতা ব্যাংকের সামনে দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়ে বাজারের ভিতর প্লাবিত হচ্ছে। ফলে আশাশুনি সদর এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন এই ৫টি পয়েন্টের ভাঙনের সমাধান যদি দ্রুত না করা যায় তবে, আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাতক্ষীরা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ