পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হয়ে থাকতে পারে। যারা এসব কর্মকন্ড করছে, তাদের এসব থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। না হলে আইন অনুযায়ী আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা যেন আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য সরকার সবধরনের ব্যবস্থা নেবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে রোববার হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
শুধু কি হেফাজতই বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালাচ্ছে, নাকি এর পেছনে অন্য কেউ আছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন এটা থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হচ্ছে তাদের রণ কৌশলগুলো বাঁশের কেল্লা ইনভলব (যুক্ত) হওয়া এটা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। এগুলো হয়তো আগে যে জঙ্গি সংগঠনগুলো সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য প্রয়াস পেয়েছিল, তারাই এখানে আবার নতুনভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে আমাদের মনে হচ্ছে। সবকিছু আমরা তলিয়ে দেখছি। যে যেখানে থাকুক আমরা কাউকে ছাড় দেব না।
জঙ্গি সংগঠন বলতে কাদেরকে বোঝাচ্ছেন এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগেও আপনারা দেখেছেন, কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে মদদদাতা রয়েছে। এই সব জঙ্গি সংগঠনের নেতাগুলো আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা ছিলেন বলে আমরা দেখেছি। হরকাতুল জিহাদ বলুন, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম বলুন, যেটাই বলুন, সবগুলো মূল নেতৃত্ব এসেছে জামায়াত-শিবির থেকে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা মনে করি, এই অহেতুক অবস্থা তৈরি করা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করা এটা আমাদের কারও কাছে কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাবেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।