পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছে সউদী আরব। ঢাকায় সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান গতকাল রোববার বিকালে তার দপ্তরে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান বলেন, সউদী প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে এমন নয় বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদেরও সউদী আরবে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওমরাহ পালনের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এজেন্টের মাধ্যমে ওমরাহ ভিসা আবেদন করা যাবে। তিনি বলেন, এ বছর হজের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি। সউদী কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
সউদী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে পবিত্র দুই মসজিদের হেফাজতকারী সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ বছর একই সঙ্গে দুটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান উদযাপন করছে বাংলাদেশ, যা ইতিহাসে বিরল। এ উপলক্ষে অনেক শুভকামনা বাংলাদেশের জন্য। একই সঙ্গে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা অর্জনে আপসহীন সংগ্রাম ও ত্যাগের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাই। দোয়া করছি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
বাংলাদেশ-সউদী আরব সম্পর্ক প্রসঙ্গে সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৪৫ বছরে এই সম্পর্ক কূটনৈতিক, রাজনৈতিকসহ সব পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। দুই দেশ রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করছে। পারস্পরিক সহযোগিতাও আছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ২২ লাখ বাংলাদেশি সউদী আরবের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সউদী আরবের ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়নে তারা কাজ করছে।
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনের সময় ও ১৯৭৪ সালে লাহোরে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সময় বঙ্গবন্ধু ও সউদী বাদশাহ ফয়সালের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে সম্পর্ক ক্রমেই জোরালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছরগুলোতে বেশ ক’বার সউদী আরব সফর করেছেন। সউদী আরবের মন্ত্রী, প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশ সফর করেছেন। সউদী ইমামরাও বাংলাদেশে খুতবা দেওয়ার জন্য আসেন।
বাংলাদেশে সউদী আরবের বিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে। সউদী আরবের বিনিয়োগকারীদের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশ। এর কারণ বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা। তিনি বলেন, জ্বালানি, তেল, তরলীকৃত গ্যাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, খাদ্যসহ অন্যান্য খাতে সউদী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।