নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : তার ব্যাক হ্যান্ড কিংবা ফোর হ্যান্ড শট দেখে একবার আবদার উঠেছিল ছেলেদের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ হলেও খেলানোর। তবে সেই আশা পূরণ না হলেও ছেলেদেরও যে ছাপিয়ে যেতে পারেন সেরেনা উইলিয়ামস তার প্রমাণ মিলেছে। সবার ওপরেই উঠে গেলেন সেরেনা উইলিয়ামস। পেছনে পড়ে গেলেন রাজার ফেদেরারও। ৩০৮তম গ্র্যান্ড ¯ø্যাম ম্যাচটি জিতে ইতিহাসের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। এই জয়ে ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালটা নিশ্চিত হয়ে গেছে সেরেনার।
ইয়ারো¯ø্যাভা শেভেদোভার বিপক্ষে জয়টা অনুমিতই ছিল। হেরে গেলেই বরং হতো অঘটন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ৫২তম খেলোয়াড়টি একেবারেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি ৩৪ বছর বয়সী সেরেনাকে। মাত্র ৬৮ মিনিট সময় নিয়ে মার্কিন তারকা জিতেছেন ৬-২, ৬-৩-এ। এটি গ্র্যান্ড ¯ø্যাম টুর্নামেন্টে তাঁর ৩০৮তম জয়। আগের ম্যাচে জিতে সেরেনা গড়েছিলেন মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার নতুন রেকর্ড। এবার নারী-পুরুষ মিলিয়েই রেকর্ডটা হয়ে গেল তাঁর। ২২টি গ্র্যান্ড ¯ø্যামজীয় সেরেনা উচ্ছ¡াসটা স্বাভাবিকই, ‘ব্যাপারটা দারুণ আনন্দময়।’ ইউএস ওপেনে যে রেকর্ডটা হলো, সেটাও বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। এটা যে তাঁর ঘর। বলেছেন, ‘এখান থেকেই তো সবকিছুর শুরু। সুতরাং, ইউএস ওপেন সব সময়ই আমার কাছে বিশেষ কিছু। ৩০৮ সংখ্যাটা কিন্তু দারুণ শোনাচ্ছে। স্পষ্টতই কখনো ভাবিনি আমি এখনও খেলে যাব। কখন থামবো তাও দেখতে পাচ্ছি না আমি।’
ফেদেরার অবশ্য অন্যান্য পুরুষ তারকার চেয়ে এই তালিকায় এগিয়ে আছেন অনেক ব্যবধানেই। ফেদেরারের পর সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড ¯ø্যামজয়ী পুরুষ তারকা হচ্ছেন জিমি কনোর্স (২৩৩টি জয়)। হালের নোভাক জোকোভিচ ফেদেরারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন, তাঁর জয় ২২৬টি। মেয়েদের মধ্যে নাভ্রাতিলোভার জয় ছিল ৩০৬টি। ২৯৯টি জয়ে মেয়েদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছেন ক্রিস এভার্ট। চতুর্থ স্থানে থাকা স্টেফি গ্রাফের জয় ২৭৮। সেরেনার বোন ভেনাসের জয় ২৪২টি।
সেরেনা পারলেও উইলিয়ামস পরিবারের বড় মেয়ে ৩৬ বছর বয়সী ভেনাস অবশ্য শেষ ষোলোর বাধা পেরোতে পারেননি। চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিসকোভার কাছে ৪-৬, ৬-৪, ৭-৬ গেমে হেরে গেছেন দুই বারের এই ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন।
মেয়েদের এককের শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়েন আরেক তারকা আগ্নিয়েস্কা রাদভান্সকা। পোল্যান্ডের এই খেলোয়াড় ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারেন ক্রোয়েশিয়ার তরুণী আনা কোনইয়ুহর কাছে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেনের জুনিয়র শিরোপা জেতা ১৮ বছর বয়সী কোনইয়ুহ ইউএস ওপেনের শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী। শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে স্পেনের কার্লা সুয়ারেস নাভাররোকে ৬-২, ৭-৫ গেমে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেন রোমানিয়ার সিমোনা হালেপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।