নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ফুটবলে শনির দশা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ জাতীয় দলের। প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর অনেকের শঙ্কা ছিল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের হোম ম্যাচে দুর্বল ভুটানকে হারাতে পারবে তো লাল-সবুজরা? শঙ্কাই সত্যি হলো। ভুটানের বিপক্ষে জয় পেলো না বাংলাদেশ। প্রায় ডজনখানেক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজের কাজ কিছুই করতে পারল না বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিটের শিষ্যরা। ম্যাচের পুরো সময় আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও অতিথি দলের জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাই গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। এখন চেয়ে থাকতে হবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। ওইদিন থিম্পুতে ফিরতি ম্যাচে ভুটানকে হারাতে না পারলে অথবা অন্তত গোলশূন্য ড্র করতে না পারলে কপাল পুড়বে বাংলাদেশের। যদি তারা অ্যাওয়ে ম্যাচে ভুটানের কাছে হেরে যায় তাহলে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী তিন বছর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাবে না লাল-সবুজরা। এ সমীকরণে কাল জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পর এক আক্রমণে তারা ব্যতিব্যস্ত রাখে ভুটানি রক্ষণদুর্গকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন ভর করে বাংলাদেশে উপর। ধারাবাহিক আক্রমণে থেকে ডজনখানেক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেও সফলতা পেলো স্বাগতিকরা। ম্যাচের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের আক্রমণগুলো। কিন্তু বার বারই তা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়েছে। কখনো গোলপোস্টে, কখনো রক্ষণভাগে। অনেকবার বাংলাদেশের আক্রমণগুলো ফিরিয়েছেন ভুটানের গোলকিপার হরি গুরুং। আবার অনেকটা বিদ্রæপাত্মকভাবে বাংলাদেশের বেশ কিছু আক্রমণ চলে গেছে মাঠের বাইরে। গোল মিসের মহড়ায় এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময় শুধু লড়ে গেছে রানার দল। দ্বিতীয়ার্ধেও একই দৃশ্য। গ্যালারিতে থেকে একটু পরপরই ভেসে আসছে ‘হবে হবে’ ‘এগিয়ে যাও বাংলাদেশ’ ‘আছে আছে এখনো বল আছে’ দর্শকদের এমন উৎসাহমূলক বাণী। তবে আফসোসও কিন্তু কম ছিল না। তাই ‘উফ’, ‘ইস’ এ ধরনের শব্দও এসেছে বাংলাদেশ দলের গোল মিস দেখে। এভাবেই শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের একটি কাক্সিক্ষত জয়ের স্বপ্ন।
প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে হেরে জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন সেইন্টফিটের শিষ্যরা। এবার ভুটানের বিপক্ষেও ধুঁকেছে বাংলাদেশ। একসময় যে দলটিকে বলে কয়ে হারাতো তারা, আজ তাদের বিপক্ষে মাঠে নামতে হয় দুরু দুরু বুক নিয়ে। বার বার আক্রমণ করেও রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় ভুটানের জালে বল প্রবেশ করাতে পারেননি স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। গোলের অনেক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন সৈকত, রুবেল মিয়ারা। এই ভুল ক্ষমার অযোগ্য। এমন ড্র হয়তো মেনে নিতে পারেননি লাল সবুজের বেলজিয়ান কোচ টম সেন্টফিট। তাই নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শেষে মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়ার কথা থাকলেও মাথা গরম করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। অবশ্য ১০ মিনিট পর ঠিকই মুখোমুখি হয়েছেন মিডিয়ার। গণমাধ্যমের সামনে এসেই একটি গোলের জন্য হাপিত্যেশের কথা জানালেন সেন্টফিট। তার কথায়, ‘একটি গোলের প্রত্যাশায় আমি মিডফিল্ডার এনামুল হক শরীফকে উঠিয়ে ফরোয়ার্ড জুয়েল রানাকে নামিয়েছি। কিন্তু গোল কই। এমনকি শেষ দশ মিনিটে আক্রমণাত্মক খেলাও খেলেছে ছেলেরা। অনেকগুলো গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কেন যে গোল পেলাম না আমি জানি না। এরচেয়ে কষ্টের আর কিছুই হতে পারে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।