নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ক্রিকেট, ফুটবলের পর এবার পেশাদারিত্বের পথে হাঁটছে দেশের হকিও। যার প্রমাণ জাতীয় হকি দলের জন্য একাধিক স্থানীয় ও বিদেশী কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচে একটি প্যাকেজ হাতে নিয়েছে। লাল-সবুজ হকির উন্নয়নের লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের এই প্যাকেজে থাকছে স্থানীয় ও বিদেশীদের সমন্বয়ে সাতজনের বিশাল কোচিং স্টাফ। প্যাকেজে থাকছে জার্মানীতে খেলোয়াড়দের কন্ডিশনিং ক্যাম্পও। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়েই পেশদারিত্বের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের হকি। গতকাল দুপুরে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে পেশাদারিত্বের নমুনা পর্যায়ক্রমে দেখিয়ে দিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনীর। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরক সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক ও সদস্য হাজী মো. হুমায়ুন। যেখানে সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগামী নভেম্বরে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় এএইচএফ হকি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে বাংলাদেশকে। নইলে এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করতে পারবো না আমরা।’
লাল-সবুজ হকিতে পেশাদারিত্ব নেই বলেই এমন আক্ষেপ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের। আর তা ঘুচাতেই এবার এগিয়ে এসেছেন সহ-সভাপতি মুনীর। দীর্ঘ মেয়াদী বিদেশী কোচের খরচ চলাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) হকি ফেডারেশনকে অর্থ দিলেও প্যাকেজ বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন মুনীর। তিনমাসের এই প্যাকেজে পাঁচ জার্মানী কোচ এবং ইউরোপের এই দেশটিতে এক মাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হবে। যার পুরোটাই দিবেন মুনীর। জাতীয় দলের জন্য বিদেশী কোচিং স্টাফের পাঁচজনই জার্মানির। এরা হলেন- প্রধান কোচ অলিভার কার্টজ, উপদেষ্টা কোচ গেরহার্ড পিটার, প্রধান টেকনিক্যাল নির্বাহী লুজার বিসমান, ভিডিও অ্যানালাইজার অ্যাখিম মেনট্রেস ও ফিজিও জুসট ক্রুইজেন। এই কোচিং স্টাফে স্থানীয়দের মধ্যে থাকছেন স্থানীয় প্রধান কোচ মাহবুব হারুন এবং সমন্বয়কারী আরিফুল হক প্রিন্স।
প্যাকেজ প্রসঙ্গে মুনীর বলেন, ‘জার্মানীর একটি আইন উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে এই পাঁচ কোচের জন্য। ইতোমধ্যে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে বাংলাদেশের পাঁচ খেলোয়াড় জার্মানীতে গেছেন। আগামীকাল (বুধবার ) যাবেন আরও তিনজন। এভাবে ক’দিনের মধ্যে সব খেলোয়াড়ই যাবেন। আর মাহবুব হারুন এবং প্রিন্সও ওই কোচিং স্টাফে যোগ দেবেন। জার্মানিতেই একমাস কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে।’
খন্ডকালীন প্যাকেজে সাতটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছেন হকি ফেডারেশন কর্তারা। এগুলো হলো- হকির জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মকৌশল গঠন করা, সফল ও শক্তিশালী জাতীয় দল গঠন করা, ফেডারেশনের রাজস্ব আয়া বৃদ্ধি করা, সর্বক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব তৈরী করা, তৃণমূল পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা, হকির ‘ব্র্যান্ড ভেল্যু’ বৃদ্ধি করা এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিকেন্দ্রীকরণ করা। প্যাকেজ নিয়ে বেশ আগ্রহ সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেকের। তিনি বলেন, ‘খন্ডকালীন হলেও আমরা পেশাদারিত্বের পথে হাঁটার চেস্টা করছি। বাকিটা সময়ের ব্যাপার। তবে আমরা এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এটাই বড় কথা। আমাদের এই স্বপ্ন পূরনে সহ-সভাপতি মুনীর এগিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।