Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাজ বাগিয়ে নিতে মরিয়া সিন্ডিকেট

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর’র টেন্ডারের কাজ বাগাতে না পেরে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এই চক্রটি সর্বনিম্ন দরদাতা নাটোরের মেসার্স এমদাদুল হককে সমঝোতার কথা বলে জোরপূর্বক অফিসিয়াল প্যাডে স্বাক্ষর নিয়ে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদন পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি বরাবরে। চক্রটির ফাঁদে আটকে পরে অসহায় ঠিকাদার ঘুরছেন এখন বিভিন্ন দফতরে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমএসআর’র টেন্ডারের জন্য দরপত্র আহবান করে। যার স্মারক নং-জেনা:হাস:কুড়ি/এমএসআর/দরপত্রহিসাব-২০২০-২১/৯৫। তারিখ:৩০/০২/২০২১। ৬টি গ্রুপে প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডারে ৬টি আইটেমে বিভিন্ন ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার আহবান করে। গত ১মার্চ ৯টি দরপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে বাতিল করা হয় একটি দরপত্র। যাচাই-বাছাই শেষে নাটোরের মেসার্স এমদাদুল হক, মেসার্স এইচটি ড্রাগ হাউস এবং রাজশাহীর মেসার্স মাইক্রো টেডার্স নামে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ১২৫টি আইটেমের মধ্যে মেসার্স এমদাদুল হক ও মেসার্স এইচটি ড্রাগ হাউস ১২৪টিতে এবং রাজশাহীর মেসার্স মাইক্রো টেডার্স ৪টিতে সর্বনিম্ন দরদাতা হন। টেন্ডারে প্রথম দুটি দরদাতা ৩১ শতাংশ কম দর দাখিল করেছিল। পরবর্তীতে কমিটি দরপত্র মূল্যায়ন করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি বরাবর প্রেরণ করা হয়।

এদিকে সিন্ডিকেট চক্রটি প্রথম দফায় দরপত্র প্রত্যাহারের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমানকে পুনরায় টেন্ডারের জন্য চাপ দিয়েও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তারা সর্বনিম্ন দরদাতাকে টেলিফোনে নানা রকম হুমকি দিয়ে সুবিধা করতে না পেরে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। সর্বনিম্ন দরদাতাদের মধ্যে এমদাদুল হক সমঝোতার জন্য কুড়িগ্রামে এসে ফাঁদে আটকে পড়েন। তাকে আটকে সিন্ডিকেট চক্রটি ভয়ভীতির মাধ্যমে দরপত্র প্রত্যাহারের জন্য সাদা প্যাডে স্বাক্ষর নিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে দরপত্র প্রত্যাহারের আবেদন লিখে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি বরাবর প্রেরণে বাধ্য করা হয়।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার এমদাদুল হক সিন্ডিকেট চক্রের নাম না জানিয়ে মোবাইলে অভিযোগ করেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উত্তারঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে এমএসআর’র কাজ করে আসছি। সিন্ডিকেট চক্রটি গত সপ্তাহে আমাকে সমঝোতার জন্য কুড়িগ্রামে ডেকে নিয়ে এসে আমার উপর চড়াও হয়। তারা আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে সাদা প্যাডে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।
বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমান জানান, টেন্ডার কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাদের নাম প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। আমার কাছে পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুল-২০০৬/২০০৮ এর গাইড লাইন দেয়া আছে। আমি এর বাইরে যাবো না। টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদন সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুড়িগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ