Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল সনদে প্রধান শিক্ষক!

ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২১, ৫:০৬ পিএম

ভেবেছিলেন এভাবেই বৈতরণী ঠিক ঘাটে গিয়ে ভিড়বে তাঁর। কিন্তু ডিজিটাল সিস্টেমে আটকা পড়ে যান। জাল সনদ ধরা পড়ে যায়। এর ফলে চাকরি চলে যাওয়ার অবস্থা। এর সঙ্গে আগের উত্তোলন করা বেতন-ভাতাও ফেরত দিতে হবে এবার। দিনাজপুরের পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মানিক কুমার রায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি জরুরী সভা আহ্বান করে। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষককে ২৮ মার্চের মধ্যে সনদ প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা যায়, উপজেলার ৫নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নের বছিরবানিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার রায়ের পুত্র মানিক কুমার রায়। ২০০০ সালে পার্বতীপুর শহরের বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কাব্যতীর্থ পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি এমপিওভূক্ত হন। তার ইনডেক্স নম্বর ৫৬১৪২৪। ২০০৭ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত পার্বতীপুর বিএড কলেজ থেকে বিএড পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হন। ২০১২ সালে তিনি ওই বিদ্যালয়ে জাল সনদপত্র জমা দিয়ে সহাকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি সাত বছর এই পদে কর্মরত ছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই বিদ্যালয়ে পদত্যাগ করে পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নতুন কর্মস্থলে মানিক কুমার রায় যোগদানের পর এমপিওভূক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের কাছে অনলাইনে আবেদন করেন। উপপরিচালক তার কাগজপত্র যাচাইকালে বিএড পাশের সনদপত্রটি জাল বলে নিশ্চিত হন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মানিক কুমার রায়ের বিএড পাশের ফল দেখতে না পেয়ে ফাইলটি প্রত্যাখান করেন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পার্বতীপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে মানিক কুমার রায় তিনবার এমপিওভূক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার বিএড পাশের ফল দেখত না পাওয়ায় তিনবারই ফাইল প্রত্যাখান করা হয়। তিনি আরো বলেন, তার এমপিও পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং পূর্ববর্তী কর্মস্থলের বেতন ভাতাও ফেরত দিতে হবে এবার।

পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওহাব সরকার বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরে জরুরী সভা করে ২৮ মার্চ (রবিবার) পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে তার সনদ সঠিক সেটি প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় তার নিয়োগ বাতিল করা হবে। মানিক কুমার রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। নির্ধারিত সময়ে সকল কাগজপত্র প্রমাণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ